স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

করোনায় চাকরি হারানো বাবা গলা টিপে হত্যা করলো দুই কন্যাকে

ঢাকায় লাইটারেজ জাহাজে চাকরি করতেন চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলার পদুয়ার মুকুন্দ বড়ুয়া (৫০)। করোনায় চাকরি হারিয়ে দুই কন্যা সন্তান নিয়ে উঠেছিলেন শ্বশুরবাড়িতে। অর্থসংকটে থাকা স্বভাবে রাগী মুকুন্দের হাতেই মারা গেল তার দুই শিশুকন্যা! তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যার পর তিনি নিজেও আত্মহত্যার চেষ্টা করে এখন অজ্ঞান অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি আছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।

বুধবার (১ জুলাই) চট্টগ্রামের পটিয়ায় উপজেলার কাশিয়াইশ ইউনিয়নে ভান্ডারগাও এলাকায় এ মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে।

পটিয়া থানার ওসি বোরহান উদ্দিন জানান, টুকু বড়ুয়া (১৪) এবং নিশু বড়ুয়াকে (১০) হত্যা করেছে মুকুন্দ বড়ুয়া নামে এক পিতা। পরে বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে নিজেও। তার স্ত্রী প্রায় পাঁচ বছর আগে মারা গেছেন। তার বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়। তিনি পটিয়ায় তার শ্বশুরবাড়ি থাকতেন।

স্থানীয়রা জানান, মুকুন্দ ঢাকার পর্যটন নামে একট জাহাজে চাকরি করতেন। ৫ বছর আগে তার স্ত্রী মারা যান। তার দুই মেয়ে মায়ের বাড়িতে থাকতো। করোনা পরিস্থিতির কারণে কাজ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ২ মাস আগে তিনিও গ্রামে এসে শশুর বাড়িতে থাকা শুরু করেন।

বুধবার ভোর রাতে তিনি দুই মেয়েকে হত্যা করে নিজেও বিষ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এ ঘটনায় কাশিয়াইশ ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নং ওয়ার্ডের সদস্য মো. ইউসূফ জানান, ‘ভোরে আমি খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে এসেছি। পুলিশকে খবর দিয়েছি। দুই মেয়ের লাশও পড়ে আছে। মুকুন্দ বড়ুয়াও অজ্ঞান অবস্থায় পড়ে আছেন। মুকুন্দ খুবই রাগী ছিলেন বলে তার প্রতিবেশীরা জানিয়েছে।’

ওসি বোরহান উদ্দিন আরো বলেন, ‘হত্যাকাণ্ডের কারণ আমরা এখনও নিশ্চিত নই। তবে অভাবের কারণে বা শ্বশুরবাড়িতে থাকার হতাশা থেকে এমনটা করতে পারে। তৃতীয় পক্ষও জড়িত আছে কিনা তা আমরা তদন্ত করে দেখছি।’

আরো সংবাদ