স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

মশক নিধনে ঢাকা উত্তরে আজ থেকে চিরুনি অভিযান

মশক নিধনে নগরবাসীর প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র আতিকুল ইসলাম। তিনি বলেছেন, ‘আপনার বাড়ি বা স্থাপনার ভেতরে, বাইরে, আশেপাশে কোথাও পানি জমে থাকলে এখনই ফেলে দিন। তিন দিনে জমা পানি একদিন ফেলে দিন। ডেঙ্গু থেকে আপনি সুরক্ষিত থাকুন, আপনার পরিবারকেও সুরক্ষিত রাখুন।’ গতকাল ভিডিও বার্তায় মেয়র এ আহ্বান জানান।

আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘এডিস মশা নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে নগরবাসীকে ডেঙ্গু থেকে সুরক্ষা দিতে শনিবার (৪ জুলাই) থেকে ডিএনসিসির সব ওয়ার্ডে আবারও একযোগে বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান অর্থাৎ চিরুনি অভিযান শুরু হচ্ছে।’

তিনি জানান, ১০ দিনব্যাপী এ অভিযান শুক্রবার ছাড়া প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরিচালিত হবে। চিরুনি অভিযান পরিচালনার উদ্দেশে প্রতিটি ওয়ার্ডকে ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। আবার প্রতিটি সেক্টরকে ১০টি সাব-সেক্টরে ভাগ করা হয়। প্রতিদিন প্রতিটি ওয়ার্ডের একটি সেক্টরে অর্থাৎ ১০টি সাব-সেক্টরে চিরুনি অভিযান পরিচালনা করা হবে। এভাবে আগামী ১০ দিনে সমগ্র ডিএনসিসিতে চিরুনি অভিযান সম্পন্ন করা হবে। প্রতিটি সাব-সেক্টরে ডিএনসিসির চারজন পরিচ্ছন্নতাকর্মী, একজন মশক নিধনকর্মী ডিএনসিসির আওতাধীন বাড়ি, স্থাপনা ও প্রতিষ্ঠানে গিয়ে কোথাও এডিস মশার লার্ভা আছে কিনা কিংবা কোথাও তিন দিনের বেশি পানি জমে  আছে কিনা বা ময়লা-আবর্জনা আছে কিনাÑতা পরীক্ষা করবেন। চিরুনি অভিযান চলাকালে ডিএনসিসির তিনজন কীটতত্ত্ববিদ, স্বাস্থ্য বিভাগ ও বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের কর্মকর্তারা নির্দেশনা দেবেন। এছাড়া স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে ৯ জন কীটতত্ত্ববিদ এবং ছয়জন চিকিৎসক ডিএনসিসির সঙ্গে কাজ করবেন।

অভিযান চলাকালে যেসব বাড়ি বা স্থাপনায় এডিস মশার লার্ভা কিংবা এডিস মশা বংশবিস্তার উপযোগী পরিবেশ পাওয়া যাবে তার ছবি, ঠিকানা, মোবাইল নম্বরসহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় তথ্য তাৎক্ষণিকভাবে একটি অ্যাপে সংরক্ষণ করা হবে। মেয়র বলেন, এর ফলে অভিযান শেষে ডিএনসিসির কোনো কোনো এলাকায় এডিস মশা বংশবিস্তার করে তার একটি ডেটাবেস তৈরি হবে। ডেটাবেস অনুযায়ী পরবর্তীতেও তাদের মনিটর করা হবে। অভিযানের সঙ্গে সঙ্গে এডিস মশা নিয়ন্ত্রণে ডিএনসিসির আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটদের নেতৃত্বে মোবাইল কোর্টও পরিচালিত হবে। আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘চিরুনি অভিযান সর্বাত্মকভাবে সফল করতে আমি ওয়ার্ড কাউন্সিলর, সংরক্ষিত আসনের কাউন্সিলর, গণমাধ্যমকর্মী এবং ডিএনসিসির সর্বস্তরের জনগণকে আহ্বান জানাই।’

আরো সংবাদ