স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

কিছু এয়ারলাইন্সে টিকিট বিক্রি করেও বাতিল ঘোষণা, বিপদে লক্ষাধীক প্রবাসী

করোনা থেকে সুরক্ষার তাগিদেই অনেক বিদেশি এয়ারলাইন্স বাংলাদেশ থেকে ফ্লাইট পরিচালনা করছে না। এমনকি টিকিট বিক্রি করেও বাতিল করেছে কিছু এয়ারলাইন্স। নাগরিকত্ব ও রেসিডেন্স পারমিট ছাড়া বাংলাদেশিদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বহাল রেখেছে মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও ইউরোপের অনেক দেশ। এতে বিপদে পড়েছেন ছুটিতে দেশে এসে আটকে পড়া লক্ষাধিক প্রবাসী।

গত ১৬ জুন আন্তর্জাতিক রুটে ফ্লাইট চালুর পর আশা জেগেছিল ফিরতে পারবেন কর্মস্থলে। কিন্তু সে আশার গুড়ে বালি। ইতালিতে নেমেই বাংলাদেশি যাত্রীরা করোনা পজিটিভ হওয়ায় বন্ধ হয়ে গেছে ফ্লাইট।

পরিস্থিতি অনেকটা এমনই অন্যান্য দেশের বেলায়ও। ছয়টি বিদেশি এয়ারলাইন্সকে অনুমোদন দেয়া হলেও এ পর্যন্ত ৩টি বাণিজ্যিক ফ্লাইট চালু করেছে। এর মধ্যে বাংলাদেশ বিমান সরাসরি লন্ডন গেলেও শুধু ট্রানজিট যাত্রী পরিবহন করছে কাতার ও এমিরেটস।

একজন বলেন, ‘৭৫ হাজার টাকা দিয়ে টিকিট কাটলাম তাও অগ্রিম বলে দিছে ক্যানসেল। তারা যদি ফ্লাই না করে আমাদের থেকে কেন টাকা নিল।’

ঘোষণা দিয়েও ফ্লাইট বাতিল করেছে টার্কিশ এয়ার। সংযুক্ত আরব আমিরাত বাংলাদেশ থেকে যাত্রী আসার অনুমতি দিলেও মধ্যপ্রাচ্য, এশিয়া ও ইউরোপের কোনো দেশ এখনো নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়নি।

আটাব সভাপতি মনসুর আহমেদ কালাম বলেন, ‘মধ্যেপ্রাচ্য যারা কাজ করে এরকম লোকের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ২০ হাজারের মতো। ফ্লাইট চালু না হওয়া পর্যন্ত যেতে পারছে না এরা। সমস্যাগুলো সমাধানে সরকারের আরো এগিয়ে আসা দরকার।’

ইউএস বাংলা জনসংযোগ বিভাগের মহাব্যবস্থাপক মো. কামরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা চাই সরকার যেন দ্বিপাক্ষিক আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে।’

নিজ দেশের সুরক্ষার তাগিদেই বাকি এয়ারলাইন্সগুলো আসছে না স্বীকার করে নিলেন সিভিল এভিয়েশন চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।

তিনি বলেন, ‘ঝুঁকির কথা চিন্তা করে কোনো এয়ারলাইন্স আসছে না। এই পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সমস্যা কাটবে।’

আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধের আগে মার্চ পর্যন্ত বিভিন্ন দেশ থেকে এসেছেন ৭ লাখ যাত্রী।

আরো সংবাদ