স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

চট্টগ্রাম মহানগরীতে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই ৭টি পশুর হাটে বেচা-কেনা হবে

করোনা পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়েই বন্দরনগরী চট্টগ্রামে কোরবানির পশু বেচা-কেনায় সাতটি গরুর হাট বসবে। এছাড়া আরও একাধিক অস্থায়ী হাট সিটি কর্পোরেশন কর্তৃক অনুমোদের অপেক্ষায় রয়েছে।

স্বাস্থ্যঝুঁকি থাকলেও চট্টগ্রাম সিটি মেয়র বলেছেন, ক্রেতা-বিক্রেতার স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেই এসব হাটে কোরবানির পশু বেচাকেনা হবে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন সূত্রে জানা গেছে চট্টগ্রাম নগরীতে দুটি বড় স্থায়ী পশুর হাট রয়েছে। এগুলো হলো-নগরীর মুরাপদপুর বিবির হাট এবং সাগরিকা গরুর বাজার। এছাড়া নগরীর বাইরে মইজ্যার টেক এলাকায় আরও একটি অনুমোদিত গরুর হাট রয়েছে। স্থায়ী এই তিনটি গরুর হাটের পাশাপাশি কোরবানি উপলক্ষ্যে নতুন করে আরও চারটি অস্থায়ী পশুর হাটের অনুমোদন দিয়েছেন চট্টগ্রাম সিটি কর্পেোরেশন। সব মিলিয়ে কোরবানি উপলক্ষ্যে চট্টগ্রাম মহানগরে সর্বমোট সাতটি গরুর হাটে কোরবানির পশু বেচা-কেনা হবে বলে সিটি কর্পোরেশন সূত্র জানিয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা প্রাণিসম্পদ রেয়াজুল হক জানান, মহানগরী ও জেলায় গত বছর যতগুলো কোরাবানির পশুর হাট বসেছিলো এবার সেরকম থাকবে না। গতবছর নগরী ও জেলার বিভিন্ন উপজেলায় ৬৩টি স্থায়ী গরুর বাজারের পাশপাশি আরও ৮৩টি গরুর হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছিলো। এবার এই সংখ্যা প্রায় অর্ধেক থাকবে। এছাড়া প্রতিটি পশুর হাটে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

চট্টগ্রাম সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন জানান, এবার আগের চেয়ে অনেক কম গরুর বাজার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গত বছর নগরীতে ১২টি গরুর বাজার অনুমোদন দেওয়া হয়। এ বছর করোনা পরিস্থিতির কারণে নগরীতে তিনটি স্থায়ী পশুর হাটের পাশাপাশি চারটি অস্থায়ী হাটের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। প্রতিটি হাটে স্বাস্থ্য বিধি নিশ্চিত করে গরুর-ছাগল বেচা-কেনা করতে সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ থেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রতিটি হাটের প্রবেশ মুখে বেষ্টনি দেওয়া হবে। মাস্ক ছাড়া কেউ হাটে প্রবেশ করতে পারবে না।

আরো সংবাদ