স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

`সোশ্যাল মিডিয়ায় যেভাবে ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখবেন’

বিনয়ী হওয়ার কোনো বিকল্প নেই। আপনি যদি নিয়মিত ইন্টারনেট ব্যবহারকারী হয়ে থাকেন তাহলে বিভিন্ন অনুপ্রেরণামূলক পেজ কিংবা মিম থেকে এই বিষয়টি জানা স্বাভাবিক। যদিও কেন বিনয়ী হতে হবে তার অসংখ্য কারণ বলা থাকলেও কীভাবে বিনয়ী হতে হবে তা ইন্টারনেটে বিরল।

বিশ্বে ডিজিটাল স্পেস বাড়ার সাথে সাথে এখন বেশিরভাগ যোগাযোগের মাধ্যম হয়ে উঠেছে ভার্চুয়াল। যদিও এই ভার্চুয়াল যোগাযোগ আমাদের সময় বাঁচায় ও কর্মদক্ষতা বাড়ায়, কখনও কখনও এটি কেড়ে নেয় আমাদের মানবিক মূল্যবোধ। সামনাসামনি বলা কঠিন এমন অনেক কিছুই আমরা ভার্চুয়ালি সহজে বলে ফেলি। কারণ জন্মের সময় থেকেই মানুষ কন্ঠস্বর ও চোখ-মুখের অভিব্যক্তির মাধ্যমে যোগাযোগ করা শেখে। সেগুলো বাদ দিলে কিছু শব্দ ছাড়া আর কিছু থাকে না।

আমরা সামাজিক জীব হিসেবে ভার্চুয়াল যোগাযোগে সহমর্মিতা, বিনয় এবং যত্নশীলতা প্রকাশ করতে গিয়ে চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হই। অনেক সময়ই আমরা অবিবেচকের মতো ট্রল করে শুধু অনলাইনেই নয় বরং বাস্তব জীবনেও নেতিবাচকতা চর্চা করি যা আমাদেরকে মানবিকভাবে নিচু অবস্থানে নামিয়ে দেয়। কিন্তু এমনটি না করে আমরা ভার্চুয়াল দুনিয়ায় ইতিবাচক চিন্তা ছড়িয়ে দেয়ার মাধ্যমে ভালো কিছুর সূচনা করতে পারি।

নিয়ন্ত্রণ করুন নিজের পদক্ষেপ

অফলাইনে যদি কোনো অপরিচিত ব্যক্তি আপনার সঙ্গে অভদ্রভাবে কথা বলে তাহলে সবচেয়ে সহজ উপায় হলো তার সঙ্গে কথা না বলা। ঠিক তেমনি যদি অনলাইনে কেউ আপনাকে উত্ত্যক্ত করে তাহলে তাৎক্ষণিকভাবে নিজেকে সরিয়ে নিন।

এছাড়াও আপনার কথা অন্যের ওপর কতটা প্রভাব ফেলতে পারে সে সম্পর্কে সচেতন হন। আপনার যদি অনলাইনে কাউকে অপমান করতে ইচ্ছা হয় তাহলে নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন কেন আপনার এমনটা করতে ইচ্ছা করছে এবং অন্যজনও একই মনোভাব পোষণ করছেন কি না তা বোঝার চেষ্টা করুন। মনে রাখুন, তাদের ক্ষোভ কিংবা ঘৃণা আপনার মতামত পরিবর্তন করতে পারবে না একইভাবে আপনিও তাদের মতামত বদলাতে পারবেন না।

তার চেয়ে বরং যতটা সম্ভব ইতিবাচক বার্তা ও যেখানে সম্ভব সহানুভূতি প্রকাশ করুন। যেমন, কারও কৃতিত্বকে ছোট করে না দেখে অভিনন্দন জানান। আপনার সামান্য প্রশংসা কারও দিনটি সুন্দর করে দিতে পারে, একইভাবে নেতিবাচক ট্রল কারো হীনম্মন্যতার কারণ হতে পারে।

আপনার নিউজফিড হোক সুন্দর

ফেসবুকের নিউজফিড পছন্দমতো সাজানো এখন আরও সহজ। আপনার নিউজফিড আপনি যেমন চান ঠিক তেমন করে সাজিয়ে নিন।

এটি বোঝা জরুরি যে ইন্টারনেট মানব ইতিহাসে তথ্য আদান-প্রদানের সবচেয়ে দ্রুতগামী ও বৃহত্তম মাধ্যম। তা সত্ত্বেও এটি বাস্তবে যা ঘটছে তার একটি অংশ মাত্র। তাই আপনি যদি নেতিবাচকতার ভিড়ে ক্লান্ত হয়ে পড়েন তাহলে এমন পেজ ফলো করুন যা অনুপ্রেরণামূলক পোস্ট শেয়ার করে জীবনের সুন্দর দিকটি উপস্থাপন করে।

জীবনকে উপভোগ করুন পরিবার ও বন্ধুদের সাথে

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অন্যদের দেখে মনে হতেই পারে তারা আপনার চেয়ে ভালো আছে কিন্তু তা দেখে নিজের সঙ্গে তুলনা করবেন না। এটি এড়ানোর সহজ উপায় হলো নিজের মনোযোগ অন্য কোথাও নিবিষ্ট করা।

নিজের জীবনের ছোট ছোট মূহুর্তগুলোকে উদযাপন করতে শিখুন এতে আপনার যা আছে তা নিয়েই সন্তুষ্ট থাকার অভ্যাস গড়ে উঠবে। এছাড়াও আপনার বন্ধু ও পরিবারের প্রতি যত্নশীল হন। তারা আপনার জীবনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশই নয় বরং তারা আপনার জীবনকে পরিপূর্ণ করে এবং আপনাকে নিজেকে ভালোবাসতে শেখায়। তাই এই অস্থির সময়ে কারো খোঁজ নেয়া এবং নিয়মিত যোগাযোগ রাখা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারি।

এটি ফেসবুকের উই থিংক ডিজিটাল প্রোগ্রাম –এর অংশ যা ভার্চুয়াল জগতে দায়িত্বশীল নাগরিক কমিউনিটি গড়তে বিভিন্ন প্রচারণা চালায় যাতে সবাই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহারে আরও দক্ষ হয়ে উঠে।

আরো সংবাদ