অবশেষ করোনা পরীক্ষার ভুয়া রিপোর্ট, অর্থ আত্মসাৎসহ নানা প্রতারণার অভিযোগে অভিযুক্ত রিজেন্ট গ্রুপ ও রিজেন্ট হাসপাতালের চেয়ারম্যান মো. সাহেদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব।
আজ বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে রিজেন্ট গ্রুপের চেয়ারম্যান সাহেদকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাব। তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
র্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সারোয়ার এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, বুধবার ভোরে সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামের লবঙ্গবতী নদীর তীর সীমান্ত এলাকা থেকে অবৈধ অস্ত্রসহ রিজেন্ট হাসপাতাল প্রতারণা মামলার প্রধান পলাতক আসামি সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাকে হেলিকপ্টারে ঢাকায় আনা হচ্ছে।
বুধবার ভোরে নৌকায় করে ভারতে পালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল সাহেদের। তবে নৌকায় মাঝি ও সাহেদ একা ছিল বলে জানায় র্যাব।
গ্রেপ্তারের সময় সাহেদের কাছ থেকে একটি পিস্তল, তিন রাউন্ড গুলি ও একটি ম্যাগাজিন উদ্ধার করা হয়।
সীমান্ত দিয়ে নৌকায় করে পালিয়ে যাওয়ার সময় সাহেদকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় নৌকার মাঝি সাতার কেটে পালিয়ে গেলেও ধরা পড়েন সাহেদ।
সাতক্ষীরা স্টেডিয়াম থেকে হেলিকপ্টারে করে ঢাকায় আনা হচ্ছে গ্রেপ্তার সাহেদকে।

করোনায় আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসার নামে প্রতারণা এবং ‘করোনা উপসর্গ নিয়ে হাসপাতালে আসা এবং বাড়িতে থাকা রোগীদের করোনার নমুনা সংগ্রহ করে ভুয়া রিপোর্ট দেয়ার অভিযোগে ৬ জুলাই র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলমের প্রথমে উত্তরার ১১ নম্বর সেক্টরের ১৭ নম্বর সড়কে অবস্থিত রিজেন্ট হাসপাতালে অভিযান চালায়। সেখান থেকে ৮ জনকে আটকের পর র্যাবের দলটি মিরপুরে রিজেন্টের অন্য শাখায় অভিযান পরিচালনা করে। হাসপাতালের দুটি শাখা সিলগালা করা হয়।
পরদিন উত্তরা পশ্চিম থানায় র্যাব বাদী হয়ে সাহেদ করিমকে এক নম্বর আসামি করে মামলা করে। এরপর থেকে সাহেদ পলাতক ছিলেন।
এর আগে মঙ্গলবার সন্ধ্যায় রিজেন্টের এমডি মাসুদ পারভেজকে গাজীপুর থেকে গ্রেপ্তার করে র্যাব। রিজেন্টের ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলায় ২ নম্বর আসামি তিনি। সাহেদের প্রতারণার অন্যতম সহযোগী এই মাসুদ।