স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

সৌদি আরবে যে কারণে কোটি টাকা জরিমানা দিল বাংলাদেশ বিমান

বাংলাদেশ বিমানকে এক কোটি টাকা জরিমানা করেছে সৌদি আরব—এই শিরোনামে কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন পত্রিকা ও অনলাইন পোর্টালে আসছিল।

আজ বুধবার (১৫ জুলাই) ওই সংবাদের বিষয়ে বক্তব্য দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়।

তারা বলেছে, প্রকৃত বিষয় হলো, যে ঘটনার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসকে ওই পরিমাণ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল, তা ২০১৭ সাল ও তার নিকটবর্তী সময়ে সংঘটিত পুরাতন ঘটনা। যে বা যাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যে অবহেলার কারণে এই জরিমানার টাকা পরিশোধ করতে হয়েছিল, ওই ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

আজ মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মূলত বিমানের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের নজরে বিষয়টি আসামাত্রই এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সৌদি আরবের জেদ্দা হেলথ ডিপার্টমেন্টের নিয়ম অনুযায়ী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের ঢাকা-জেদ্দা-ঢাকা রুটে পরিচালিত ফ্লাইটে ‘ওয়ান শট স্প্রে’ নামক একটি জীবাণুনাশক দিতে হয়, যা বিমানের ফ্লাইটেও যথাযথভাবে দেওয়া হয়। নির্ধারিত এই জীবাণুনাশক দেওয়ার পর তার খালি টিউবগুলো নিয়ম অনুযায়ী জেদ্দা হেলথ ডিপার্টমেন্টের কাছে পরিদর্শনের জন্য উপস্থাপন করার কথা ছিল। কিন্তু সেই সময় বিমানের ওই ফ্লাইটে কর্মরত কারও কারও অবহেলার দরুন তা যথাযথভাবে ও নির্দিষ্ট সংখ্যায় উপস্থাপন না করার কারণে সৌদি আরব কর্তৃপক্ষ মার্চ ২০১৭ ও তার নিকটবর্তী সময়ে এ রকম বেশ কয়েকটি ঘটনায় ওই জরিমানা আরোপ করে। জরিমানার টাকা ওই সময়েই পরিশোধ করা হয়েছে। বিষয়টি তখন তদন্ত কার্যক্রমের বাইরে রয়ে গিয়েছিল।

আজকের বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বর্তমান ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নেওয়ার পর বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস থেকে সব অনিয়ম দূর করার আন্তরিক প্রচেষ্টা গ্রহণ করেছে। তারই অংশ হিসেবে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসে কর্মরত কারও অবহেলার কারণে ভবিষ্যতে রাষ্ট্রীয় অর্থ ও দেশের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নকারী এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধ করতে এই তদন্ত দরকার।

এ ছাড়া আগের বা বর্তমানের যেকোনো অনিয়ম পাওয়া গেলে বিমান কর্তৃপক্ষ তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। বিমান কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে, রাষ্ট্রীয় ভাবমূর্তি ও প্রতিষ্ঠানের সুনাম ক্ষুণ্ন হয়, এ রকম কাজের জন্য প্রকৃত দোষী ব্যক্তিদের শনাক্ত করে শাস্তির মুখোমুখি করলে ভবিষ্যতে এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধ করা সম্ভব হবে।

আরো সংবাদ