স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

বিদেশগামী যাত্রীদের করোনার নমুনা পরীক্ষা ঢাকা-চট্টগ্রামসহ ১৩ জেলায়

বাংলাদেশের যেসব নাগরিক বিদেশ যাবেন তাদের জন্য আগামী ২০ জুলাই থেকে রাজধানীর মহাখালীতে অবস্থিত ডিএনসিসি মার্কেটে স্থাপন করা অস্থায়ী কোভিড-১৯ আইসোলেশন কেন্দ্রে করোনার নমুনা পরীক্ষা করা হবে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদফতর।

রোববার রাতে স্বাস্থ্য অধিদফতরের কোভিড-১৯ সংক্রান্ত তথ্য ব্যবস্থাপনা, গণযোগাযোগ ও কমিউনিটি মবিলাইজেশন কমিটির মেডিকেল অফিসার ও যুগ্ন সদস্য সচিব ডা. মোস্তফা মঈন উদ্দিন স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদেশগামী বাংলাদেশের নাগরিকগণের মধ্যে যারা ঢাকা মহানগরীতে কোভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য নমুনা প্রদান করতে চান তারা ২০ জুলাই থেকে প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত মহাখালীস্থ ডিএনসিসি মার্কেটে অবস্থিত অস্থায়ী কোভিড-১৯ আইসালেশন কেন্দ্রে নমুনা প্রদান করতে পারবেন। একইসাথে ঢাকার বাইরে ১৩টি জেলায় সংশ্লিষ্ট সিভিল সার্জনগণের তত্ত্বাবধানে একই তারিখ থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হবে। স্থান ও সময়সূচি সংশ্লিষ্ট জেলার সিভিল সার্জন অফিস থেকে জানা যাবে।

যেসব জেলায় নমুনা সংগ্রহ করা হবে সেসব জেলাগুলো হলো- বরিশাল, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, কুমিল্লা, নারায়ণগঞ্জ, খুলনা, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, বগুড়া, রাজশাহী, দিনাজপুর, রংপুর ও সিলেট।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যাত্রীগণকে যাত্রার ৭২ ঘন্টা পূর্বে নমুনা দিতে হবে। নমুনা প্রদানের সময় পাসপোর্ট ও টিকেটের ফটোকপি জমা দিতে হবে এবং মূল পাসপোর্ট ও টিকেট প্রদর্শন করতে হবে। সেইসাথে নমুনা প্রদানের জন্য পরীক্ষার ফি হিসেবে প্রত্যেক যাত্রীকে সরকার নির্ধারিত ৩৫০০ টাকা জমা দিতে হবে। সংগৃহিত নমুনা সরকারি ল্যাবরেটরিতে পরীক্ষা করা হবে এবং যাত্রার ২৪ ঘন্টা পূর্বে রিপোর্ট প্রদান করা হবে।

প্রায় দুই মাস বন্ধ থাকার পর গত মাসের মাঝামাঝিতে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু হলে বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে ইতালিতে ফিরে যান হাজারখানেক বাংলাদেশি। তাদের মধ্যে ‘উল্লেখযোগ্য সংখ্যকের’ করোনাভাইরাস সংক্রমণ শনাক্ত হওয়ায় বাংলাদেশ থেকে সব ধরনের ফ্লাইটে নিষেধাজ্ঞা দেয় ইতালি সরকার। এরপর গত ৯ জুলাই কাতার এয়ারওয়েজের দুটি ফ্লাইটে ইতালিতে যাওয়া ১৬৫ বাংলাদেশিকে সেদেশের বিমানবন্দরে নামতে না দিয়ে ওই ফ্লাইটেই দেশে ফেরত পাঠানো হয়।

ওই ঘটনার পর গত ১২ জুলাই পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছিল, বিদেশে যেতে চাইলে বাংলাদেশের যে কোনো নাগরিককে ‘করোনা নেগেটিভ’ সনদ নিয়ে যেতে হবে। এই প্রেক্ষাপটে বিদেশযাত্রায় যথাযথভাবে করোনাভাইরাস পরীক্ষা নিশ্চিতের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

আরো সংবাদ