স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের সোনালি অধ্যায় লিখিত হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

পারস্পরিক উন্নয়নের লক্ষ্যে ঢাকা-দিল্লি সম্পর্কের সোনালি অধ্যায় লিখিত হচ্ছে বলে মনে করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, আর্থ-সামাজিক উন্নতির লক্ষ্যে এক সাথে কাজ করার মহৎ প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ভারত ও বাংলাদেশের নেতারা। তিনি বলেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে গত কয়েক বছর ধরে দুই দেশের পারস্পরিক সম্পর্কে এক সোনালি অধ্যায় লেখা হচ্ছে।

সোমবার এক ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে দীর্ঘস্থায়ী বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে ১০ টি ব্রড গজ লোকোমোটিভ বাংলাদেশের হাতে তুলে দেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শংকর এবং রেল, বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী পীযূষ গয়াল।

বাংলাদেশের রেলওয়ে মন্ত্রী মো. নুরুল ইসলাম সুজন এবং ভারতের রেল প্রতিমন্ত্রী অঙ্গদী সুরেশও অনুষ্ঠানে যোগ দেন।

বন্ধুত্বের নিদর্শন হিসেবে বাংলাদেশকে ১০টি ব্রড গজ ডিজেল লোকোমোটিভ দেয়ায় ভারতকে ধন্যবাদ জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন।

গত বছরের অক্টোবরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দেয়া প্রতিশ্রুতি, এবং ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেয়া নতুন নীতি, ‘সবার আগে প্রতিবেশী’ এই দুইয়ের ধারাবাহিকতায় ভারতের এই পদক্ষেপ।

এর মাধ্যমে দুই দেশের মানুষের সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ হবে, হস্তান্তর অনুষ্ঠানে এই আশাবাদ জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি আরও বলেন, সত্যিকার অর্থে, এই মুহূর্তে দুই দেশের সম্পর্ক সবচেয়ে ভাল রয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন, চলতি সপ্তাহেই প্রথমবারের মত বেনাপোল-পেত্রাপোল সংযোগ রেলপথ দিয়ে ৫০ কনটেইনার এফএমসিজি কারগো এবং ফেব্রিক ভারত থেকে বাংলাদেশে পৌঁছেছে।

গত সপ্তাহে চট্টগ্রাম বন্দর দিয়ে কোলকাতা থেকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে প্রথমবারের মত পণ্য পরিবহন করা হয়।

ড. মোমেন বলেন, পারস্পরিক মূল্যবোধ, আদর্শ ও আত্মবিশ্বাসের ওপর ভিত্তি করে ভারত-বাংলাদেশের সম্পর্ক সুদৃঢ় অবস্থানে রয়েছে। রাজনীতি, সংস্কৃতি, বাণিজ্য, বিনিয়োগ, পানি বিদ্যুত, জ্বালানি, পরিবহন নিরাপত্তাসহ জীবনের সকল স্তরেই এর প্রভাব রয়েছে।

আগামী দিনগুলোতে এই সম্পর্ক আরো উন্নত হবে বলেও আশাবাদ জানান তিনি।

আমরা বিশ্বাস করি, সংযোগই উন্নতি উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রতিবেশি দেশগুলোর সাথে সড়ক, রেল, নদীপথে যোগাযোগের পাশাপাশি মানুষের হৃদয়ের সংযোগ বাড়ানোরও প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

আরো সংবাদ