স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

করোনাকালে গত ২ মাসে প্রবাসীরা পেয়েছে দেড় লাখের বেশি পাসপোর্ট

অঘোষিত লকডাউন কাটিয়ে প্রাণ ফিরতে শুরু করেছে পাসপোর্ট অফিসে। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে আবারো লাইনে দাঁড়াচ্ছেন পাসপোর্ট প্রত্যাশীরা। করোনা সংক্রমণের কারণে সরকারি বন্ধ শুরু হওয়ার আগেই পাসপোর্ট পেতে যারা আবেদন ফরম পূরণ করেছিলেন তারা পাসপোর্ট বুঝে নিয়েছেন।

জানা গেছে, করোনা পূর্ববর্তী সংকট কাটিয়ে কিছুটা ঘুরে দাঁড়িয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর। অঘোষিত লকডাউনের মাঝেও গত দু’মাসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য পাঠানো হয়েছে দেড় লাখের বেশি পাসপোর্ট। এমনকি আগে আবেদন জানানো ই পাসপোটও ডেলিভারি প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। চট্টগ্রামের বিভাগীয় কার্যালয়ে ডেলিভারির জন্য ১০ হাজার পাসপোর্ট প্রস্তুত রাখা হয়েছে।

চলতি বছরের শুরু থেকেই মেশিন নষ্টসহ নানা জটিলতায় পাসপোর্ট বইয়ের মারাত্মক সংকট দেখা দেয়। আবেদনের ছয় মাসেও কাঙ্খিত পাসপোর্ট পাওয়া যাচ্ছিলো না। যে কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় বিদেশে চিকিৎসার জন্য যেতে আগ্রহী অসুস্থসহ প্রবাসীদের। এই অবস্থায় করোনার বন্ধ সময়ে বিভিন্ন দেশে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য দেড় লাখ পাসপোর্ট পাঠিয়েছে পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

পাসপোর্ট অধিদপ্তর চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক মো. আবু সাঈদ বলেন, করোনার মধ্যেও কোন কাজ বন্ধ নেই। কাজ চলছেই। আগের মতই পুরো অফিস চলছে।

এদিকে চট্টগ্রামের বিভাগীয় কার্যালয়ে পড়ে আছে দশ হাজারের বেশি প্রস্তুত করা পাসপোর্ট। এর মধ্যে জুন মাসেই অন্তত ৬ হাজার পাসপোর্ট ডেলিভারি দেয়া হয়েছে। চালু করা হয়েছে পাসপোর্ট রিনিউ এর কাজও।

তবে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী, বর্তমানে ই-পাসপোর্টের অনলাইন আবেদন বন্ধ রয়েছে। সে সাথে করোনার সংক্রমণ এড়াতে বন্ধ রাখা হয়েছে নতুন পাসপোর্ট তৈরির ক্ষেত্রে আঙ্গুলের ছাপসহ বায়োমেট্রিক্স সংক্রান্ত সব ধরনের কার্যক্রম।

আরো সংবাদ