স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

করোনা শনাক্তে আড়াই লাখের মাইলফলকে বাংলাদেশ

বাংলাদেশে মহামারী করোনাভাইরাস প্রথম শনাক্ত হয় গত ৮ মার্চ। পাঁচ মাসের মাথায় এসে করোনা শনাক্তে আড়াই লাখের মাইলফলক অতিক্রম করলো বাংলাদেশ। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় যুক্ত হয়েছেন দুই হাজার ৮৫১ জন। অন্যদিকে, গত ১৮ মার্চ করোনার কাছে হেরে গিয়ে প্রথম প্রাণহানির ১৪০ দিন পর এসে এই সংখ্যা এখন তিন হাজার ৩৩৩ জনের ম্যাজিক ফিগারে। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় রয়েছেন ২৭ জন। একইসাথে, একদিনে একহাজার ৭৬০ জনের করোনাজয়ের মধ্য দিয়ে এ পর্যন্ত এক লক্ষ ৪৫ হাজার ৫৮৪ জন রোগী করোনামুক্ত হলেন।

করোনাভাইরাস বিষয়ে শুক্রবার (৭ আগস্ট) দুপুরে স্বাস্থ্য অধিদফতরের দৈনন্দিন বুলেটিনে অধিদফতরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা এসব তথ্য জানান।

তিনি পিসিআর-ল্যাবরেটরিতে নমুনা পরীক্ষার তথ্য তুলে ধরে জানান, করোনাভাইরাস শনাক্তে গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ২৫৩টি নমুনা সংগ্রহ করা হয়। পরীক্ষা করা হয় আগের কিছু মিলিয়ে ১২ হাজার ৬৯৯টি নমুনা। এ নিয়ে মোট নমুনা পরীক্ষা করা হলো ১২ লাখ ৩৭ হাজার ৮২৩টি। নতুন পরীক্ষায় করোনা মিলেছে দুই হাজার ৮৫১ জনের মধ্যে। এ নিয়ে মোট শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল দুই লাখ ৫২ হাজার ৫৯২ জনে। আক্রান্তদের মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় মারা গেছেন আরও ২৭ জন। ফলে ভাইরাসটিতে মোট মৃত্যু হলো তিন হাজার ৩৩৩ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন আরও এক হাজার ৬০ জন। এ নিয়ে মোট সুস্থ রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল এক লাখ ৪৫ হাজার ৫৮৪ জনে।

নাসিমা সুলতানা আরও জানান, মারা যাওয়া ২৭ জনের মধ্যে পুরুষ ২৪ জন এবং নারী তিন জন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৬ জন, বাড়িতে মারা গেছেন একজন। এখন পর্যন্ত পুরুষ মোট মারা গেছেন দুই হাজার ৬৩০জন; যা ৭৮ দশমিক ৯১ শতাংশ এবং নারী মারা গেছেন ৭০৩ জন; যা ২১ দশমিক শূন্য ৯ শতাংশ।

২৪ ঘণ্টায় মৃতদের বয়স বিশ্লেষণে তিনি জানান, মৃতদের ৪১ থেকে ৫০ বছরের বয়সীদের মধ্যে রয়েছেন চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের ছয়জন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের ১২ জন, ৭১ থেকে ৮০ বছরের চারজন এবং ৮১ থেকে ৯০ বছর বয়সসীমার রয়েছেন একজন।

বিভাগভিত্তিক বিশ্লেষণে তিনি জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ঢাকা বিভাগের রয়েছেন ১৩ জন, খুলনা বিভাগে পাঁচজন, চট্টগ্রাম ও রাজশাহী বিভাগের তিনজন করে, রংপুর বিভাগে দুজন এবং বরিশাল বিভাগে একজন মারা গেছেন।

অন্যদিকে, সিভিল সার্জনের দেয়া তথ্যানুসারে চট্টগ্রাম জেলায় ৭ আগস্ট পর্যন্ত করোনা শনাক্ত হয়েছে ১৪ হাজার ৮৭৪ জনের দেহে, যাদের মধ্যে ১০ হাজার ৪৪৮ জন নগরের এবং চার হাজার ৪২৬ জন উপজেলার বাসিন্দা। এদের মধ্যে মারা গেছেন ২৪০ জন এবং সুস্থ হয়েছেন দুই হাজার ৫৩ জন।

আরো সংবাদ