স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

চট্টগ্রামে বিমানের টিকিট যেন সোনার হরিণ, কালোবাজারির অভিযোগ

গত ১৬ ফেব্রুয়ারি আবুধাবি থেকে বাংলাদেশে আসেন চট্টগ্রামের সন্দ্বীপ উপজেলার মুছাপুর এলাকার হাজী বেলায়েত হোসেনের ছেলে মোশাররফ হোসেন। গত ৩০ মে তার ফিরতি টিকিট থাকলেও করোনার কারণে ফ্লাইট বন্ধ থাকাতে যেতে পারেননি।

আগামী ৩০ আগস্ট পর্যন্ত আবুধাবিগামী সপ্তাহে ৪টি ফ্লাইট আছে বিমানের। সে ফ্লাইটে প্রবাসের কর্মস্থলে ফিরে যাবার জন্য হাজির হয়েছেন নগরীর ২নং গেইট এলাকার বিমান বাংলাদেশের চট্টগ্রামের আঞ্চলিক অফিসে।

বুধবার (১২ আগস্ট) সকাল থেকে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে বিমান অফিসে অবস্থান করলেও টিকিট পাননি তিনি।

আবুধাবিতে বাগানকর্মী হিসাবে কাজ করা মোশাররফ হোসেন বলেন, ৫ মাসের ছুটিতে দেশে এসেছিলাম। কিন্তু করোনার কারণে যেতে পারিনি। এখন দেখছি বিমান চালু হলেও টিকিট সংকটের কারণে যেতে পারছি না।

তিনি বলেন, এখানে লাইনে দাঁড়িয়ে আছি। কেউ কোন কথা বলছে না, বলতেও সুযোগ দিচ্ছে না। অনেকে টাকা বাড়তি দিয়ে টিকিট নিচ্ছে। ৮০ হাজার টাকা দিয়েও অনেকে দালালের মাধ্যমে টিকিট পাচ্ছে। আর আমরা গেলে বলছে, টিকিট নাই, সিট খালি নাই বলে তাড়িয়ে দিচ্ছে।

একইভাবে সকাল থেকে বিমান অফিসের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন আনোয়ারা উপজেলার হাইলধর শীলপাড়ার মৃতল শীল।

মৃতল গত বছরের অক্টোবরে আজমান থেকে দেশে আসেন ছয় মাসের ছুটিতে। ১০ মাস পার হলেও এখনো যেতে পারছেন না তিনি। এ মাসের মধ্যে যেতে না পারলে তার ভিসা বাতিল হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান তিনি।

সরেজমিন দেখা গেছে, করোনা সংক্রমণ শুরুর আগে দেশে ছুটি কাটাতে আসা প্রবাসীরা টিকিট সংগ্রহের জন্য এখন মরিয়া হয়ে চেষ্টা চালাচ্ছেন। টিকিটের জন্য কাগজপত্র, টাকাসহ ভোর থেকে লাইনে দাঁড়িয়েও খালি হাতে অনেকজনকে ফিরে যেতে হয়েছে।

বিমানের একজন কর্মী জানান, যাত্রীর প্রত্যাশিত দিনে আসন খালি থাকলে অবশ্যই টিকিট কনফার্ম করা হচ্ছে। অনেকে বাধ্য হয়ে বিজনেস ক্লাসে টিকিট কাটছেন বেশি ভাড়ায়। এখানে কাউকে অহেতুক হয়রানি বা কারও যাত্রা ঝুলিয়ে রাখার সুযোগ নেই।

দালালের মাধ্যমে বাড়তি টাকা দিয়ে টিকিট নেওয়ার বিষয়টি জানার জন্য বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের চট্টগ্রামের ম্যানেজারের মুঠোফোনে বারবার যোগাযোগ করা হলেও তাকে পাওয়া যায়নি।

আরো সংবাদ