স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

আল্লামা শাহ আহমদ শফীর জানাজা সম্পন্ন

হেফাজত ইসলাম বাংলাদেশের আমির শাহ আহমদ শফীর নামাজের জানাজা ও দাফন সম্পন্ন হয়েছে। শনিবার জোহরের নামাজের পর দুপুর ২টায় হাটহাজারী মাদ্রাসা মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।

জানাজা শেষে হাটহাজারী মাদ্রাসা ক্যাম্পাসের অভ্যন্তরে বায়তুল আতিক জামে মসজিদের সামনের কবরস্থানে আল্লামা শফীকে দাফন করা হবে। এর আগে হেফাজতে ইসলামের আমির আল্লামা শাহ আহমদ শফীকে শেষবারের মতো একবার দেখতে লাখো মানুষের ঢল নামে চট্টগ্রামের হাটহাজারী এলাকায়।

শুক্রবার রাত থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে ছুটে আসছেন লাখো ভক্ত অনুসারী। বরেণ্য এ আলেমের মরদেহ পৌঁছানোর আগেই লোকে লোকারণ্য হয়ে যায় দারুল উলুম মুঈনুল ইসলাম মাদ্রাসা প্রাঙ্গণসহ পুরো হাটহাজারী এলাকা।

শনিবার সকাল ১০টায় তার মরদেহবাহী গাড়িটি মাদরাসা প্রাঙ্গণে এসে পৌঁছায়। এসময় সেখানে এক হৃদয়বিদারক পরিবেশ সৃষ্টি হয়। এদিকে আল্লামা শফীর জানাজায় যোগ দিতে আসা জনসাধারণের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে হাটহাজারী বাস স্টেশন থেকে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয় আইনশৃংখলা বাহিনী।

এছাড়া যে কোনো পরিস্থিতি এড়াতে পুরো এলাকাজুড়ে বাড়ানো হয়েছে আইনশৃংখলা বাহিনীর তৎপরতা। মোতায়েন করা হয় র‌্যাব ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের। ১০ প্লাটুন বিজিবি সদস্য আছেন হাটহাজারী, পটিয়া, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়িতে। এছাড়া ৪ উপজেলায় দায়িত্ব পালন করছেন ৭জন ম্যাজিস্ট্রেট।

৩০ বছরের বেশি সময় ধরে চট্টগ্রামের আল-জামিয়াতুল আহলিয়া দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদ্রাসার মুহতামিম (মহাপরিচালক) পদ থাকা দেশের প্রবীণ কওমি আলেম আল্লামা শাহ আহমদ শফি।

বৃহস্পতিবার তিনি সেচ্ছায় পদত্যাগের পরে হাটহাজারী মাদ্রাসার পরিচালনা পর্ষদ (মজলিসে শুরা কমিটি) তাকে মহাপরিচালক পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে মাদ্রাসার উপদেষ্টা (সদরে মুহতামিম) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছেন।

ওই দিনই ছাত্র বিক্ষোভের মুখে অবরুদ্ধ অবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়েন আল্লামা শাহ আহমদ শফী। মাদ্রাসার দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর বৃহস্পতিবার রাত ১২টার দিকে ফায়ার সার্ভিসের একটি অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে চট্টগ্রাম হাসপাতালে নেয়া হয়।

শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে থাকা আল্লামা শফীকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে শুক্রবার সন্ধ্যার আগে ঢাকায় এনে আজগর আলী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানেই তিনি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। প্রায় শতবর্ষী আল্লামা আহমদ শফী দীর্ঘদিন যাবৎ তিনি বার্ধক্যজনিত দুর্বলতার পাশাপাশি ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন।

আরো সংবাদ