স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

সংঘর্ষে ২৩০০ আর্মেনীয় সেনা হতাহতের দাবি আজারবাইজানের

রোববার থেকে সংঘর্ষে অন্তত ২ হাজার ৩০০ আর্মেনীয় সৈন্য হতাহত হয়েছে বলে দাবি করেছে আজারবাইজান।

দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তাদের দখল হওয়া অঞ্চলগুলোকে মুক্ত করতে পাল্টা হামলায় আর্মেনিয়ার এইসব সৈন্যরা নিহত অথবা আহত হয়েছে।

তুরস্কের আনাদলু এজেন্সি জানিয়েছে, আজারাইজানের বেসামরিক এলাকা ও সামরিক স্থাপনায় হামলার পরই সংঘাতের সূত্রপাত্র বলে বাকু দাবি করেছে।

তাদের দাবি, ২৭-৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে পাল্টা হামলায় আর্মেনিয়ার প্রায় ১৩০টি ট্যাংক এবং সশস্ত্র যানবাহন, ২০০টিরও বেশি আর্টিলারি এবং মিসাইল সিস্টেম, প্রায় ২৫টি এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, ছয়টি কমান্ড এবং পর্যবেক্ষণ এলাকা, পাঁচটি গোলাবারুদ ডিপো, প্রায় ৫০টি এন্টি-ট্যাংক বন্দুক এবং ৫৫টি গাড়ি ধ্বংস করা হয়েছে।

মন্ত্রণালয়ের বরাতে আনাদলু এজেন্সি জানায়,টেরটার শহরের টোনাশেন গ্রামে মোতায়েন করা প্রথম আর্মি কমান্ডের আর্মেনিয়ান ব্যাটালিয়ন ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়ে তাদের অবস্থান ছেড়ে পালিয়েছে।

এর আগে মন্ত্রণালয় বলেছিল, বুধবার সকালে আর্মেনিয় বাহিনী টেরটার শহরে আর্টিলারি গোলাবর্ষণ করেছিল। তাদের হামলায় অঞ্চলের অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়নি।

আল জাজিরা আজারবাইজানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাতে আরও জানিয়েছে, “এই অঞ্চলের আর্মেনীয় বাহিনীর কমান্ড পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। সামরিক বাহিনীর সদস্যদের মধ্যে অনেক মৃত এবং আহত হয়েছে। রেজিমেন্ট কমান্ড আহতদের সরিয়ে নিতে সাহায্য চেয়েছে। এছাড়াও আজারবাইজানি সেনাবাহিনী আঘদারা-তের এলাকায় আর্মেনীয় বাহিনীকে ঘিরে ফেলে।”

আর্মেনিয়ার সীমান্ত লঙ্ঘন এবং অধিকৃত আপার কারাবাখ অঞ্চলে হামলার পর আজারবাইজানের সংসদ রবিবার কিছু শহর ও এলাকায় যুদ্ধের অবস্থা ঘোষণা করেছে।

১৯৮০-এর দশকের শেষ দিকে কারাবাখ অঞ্চলে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের পতনের মুহূর্তে সংঘর্ষ চূড়ান্ত আকার ধারণ করে। ১৯৯৪ সালে দুপক্ষের মধ্যে যুদ্ধবিরতি প্রতিষ্ঠার আগ পর্যন্ত এ সংঘর্ষে ৩০ হাজার মানুষ নিহত হন।

কারাবাখ অঞ্চলটি আজারবাইজানের ভূখণ্ড হলেও আর্মেনিয়া সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা নিয়ে তা নিয়ন্ত্রণ করছেন আর্মেনীয় বিচ্ছিন্নতাবাদীরা। মূলত এ নিয়েই নতুন করে সংঘাতের সূত্রপাত।  

আরো সংবাদ