স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতি

শনিবার থেকে মস্কোতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা আলোচনার পরও খুব একটা আশার মুখ দেখছে না আজারবাইজান-আর্মেনিয়া যুদ্ধবিরতি। দেশ দুটি তাদের বেসামরিক নাগরিকদের উপর হামলা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘনের জন্য একে অপরকে অভিযুক্ত করেছে। আজারবাইজান দাবী করেছে, আর্মেনিয়ার হামলায় এই যুদ্ধবিরতি কোন কাজে না আসায় রোববার তারা বিমান হামলা চালিয়েছে।

আল জাজিরা জানায়, মস্কোতে ১০ ঘণ্টা আলোচনার উদ্দ্যেশ্য ছিল নাগোর্নো-কারাবাখে জাতিগত আর্মেনিয়ানদের শান্তিপূর্ণ অবস্থান নিশ্চিত করা এবং রেড ক্রসের মধ্যস্থতায় আজারবাইজানের পক্ষ থেকে বন্দী বিনিয়ম এবং মৃতদের দেহ হস্তান্তর করা।

তবে কার্যকরের কয়েক মিনিটের মধ্যেই উভয় পক্ষই এই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের পাল্টাপাল্টি অভিযোগ তুলে। আজারবাইযান শীর্ষ কর্মকর্তারা প্রকাশ্য মন্তব্যে করেছে যে, তারা এই বিরতিকে শুধুমাত্র একটি সাময়িক বিরতি হিসেবে দেখেছেন।

এদিকে আজারবাইজান রোববার বলেছে যে তারা একটি জাতিগত আর্মেনিয়ান রেজিমেন্টের উপর বিমান হামলা চালিয়েছে, যার ফলে সে পক্ষে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে রয়টার্স তাদের এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি। নাগোর্নো-কারাবাখের একজন মুখপাত্র রয়টার্স সংবাদ সংস্থাকে বলেছে যে এই হামলা সম্পর্কে তার কাছে কোন তথ্য নেই।

আল জাজিরার মতে, এর আগে রোববার আজারবাইজান অভিযোগ করেছিল বরিবার ভোরে দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গাঞ্জার একটি আবাসিক এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণ করে আর্মেনিয়া। এসময় একটি এপার্টমেন্ট ভবন ও বাসিন্দারা মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আজেরি প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় বলেছে, যে এই হামলায় নয়জন নিহত এবং ৩৪ জন আহত হয়েছে। গাঞ্জায় রয়টার্সের একজন ফটোগ্রাফার রবিবার সকালে এপার্টমেন্ট ভবনের ধ্বংসাবশেষ থেকে একজন মৃত ব্যক্তিকে উদ্ধার করতে দেখেছেন। আশেপাশের ভবন এবং যানবাহনও মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

বাকু জানিয়েছে, সংঘর্ষের পর থেকে তাদের ৪০ জনেরও বেশি বেসামরিক নাগরিক নিহত এবং ২০০ জন আহত হয়েছে। এদিকে আর্মেনিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় গাঞ্জার উপর হামলার অভিযোগকে “সম্পূর্ণ মিথ্যা” বলে অভিহিত করেছে। তাদের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, গত মাসের সংঘর্ষের পর থেকে তাদের ৪২৯ জন সেনা নিহত হয়েছে।

আরো সংবাদ