স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে যাবে ১ কোটি ১০ লাখ কন্যাশিশু

বিশ্বজুড়ে নভেল করোনাভাইরাস মোকাবিলায় আরোপিত বিধি নিষেধ তুলে নেওয়ার পরও এক কোটি দশ লাখ কন্যাশিশু তাদের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম থেকে ঝরে যাবে বলে আশঙ্কা করছেন জাতিসংঘের শিক্ষা, বিজ্ঞান এবং সংস্কৃতি বিষয়ক সংস্থার (ইউনেস্কো) প্রধান অড্রি অজুলেহ। খবর এনডিটিভি (সিন্ডিকেট)।

বৃহস্পতিবার (১৫ অক্টোবর) ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক অব কঙ্গোতে (ডিআরসি) করোনাকালে আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে নেওয়ার পর ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষের কার্যক্রম শুরু পরিদর্শনে গিয়ে এই আশঙ্কার কথা জানান তিনি।

এদিকে, রাজধানী কিনশাসার একটি মাধ্যমিক স্কুল পরিদর্শনকালে এই সাবেক ফরাসী সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রী বলেন, অধিকাংশ দেশের ক্ষেত্রেই মহামারি মোকাবিলায় স্কুল বন্ধ রাখা ‘কাল’ হয়ে দাঁড়িয়েছে – বিষয়টি ভাবনার।

তিনি বলেন, ইউনেস্কোর এক হিসাবে দেখা গেছে – বিশ্বে অন্তত ১ কোটি ১০ লাখ কন্যাশিশু মহামারির পর ফের স্কুলে ফিরতে পারবে না। সেই আশঙ্কা থেকে ইউনেস্কো নারীশিক্ষার ক্ষেত্রে স্কুলের প্রয়োজনীয়তা এবং এ সংক্রান্ত গণসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষ্যে ক্যাম্পেইন চালু করেছে।

অড্রি অজুলেহ আক্ষেপ করে বলেন, নারীর জন্য শিক্ষার সমান সুযোগ এখনো তৈরি করা যায়নি। তবে, শিক্ষাদানের ক্ষেত্রে লৈঙ্গিক সমতা বিধানে কাজ করে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিইয়েছেন ইউনেস্কো প্রধান।

অন্যদিকে, অধুনা কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট প্রবর্তিত অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে ইউনেস্কোর সহায়তা চেয়েছেন কঙ্গোর শিক্ষামন্ত্রী উইলি বাকোঙ্গা।

ইউনেস্কো প্রধানের সঙ্গে শিক্ষা কার্যক্রম পরিদর্শনকালে শিক্ষামন্ত্রী সহায়তার কথা জানালে, প্রকল্পটিকে ‘উচ্চাভিলাষী’ বলে মন্তব্য করেন তিনি।

প্রসঙ্গত, আফ্রিকার সাব-সাহারান কঙ্গোর বার্ষিক রাজস্ব আয় হয় ২.৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার আর দেশটির প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্র পরিচালনায় মোট বার্ষিক ব্যয় হয় ২.৬৪ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। তাই, বিশ্লেষকরা দেশটির প্রেসিডেন্ট প্রবর্তিত সর্বজনীন অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমের কোনো ভবিষ্যত দেখছেন না।

তবে, বিশ্বব্যাংক এরই মধ্যে কঙ্গোর শিক্ষাখাতের উন্নয়নে ৮০০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা দেওয়ার নীতিগত সিদ্ধান্ত অনুমোদন দিয়েছে।

আরো সংবাদ