স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

কানাডায় করোনার দ্বিতীয় ঢেউ, বেড়েই চলেছে প্রকাপ

করোনা মহামারির দ্বিতীয় পর্যায়ে পুরো কানাডাতে এই ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। ইতোমধ্যে বিভিন্ন প্রদেশে ‘ডেঞ্জার জোন’ ও ‘হাই অ্যালার্ট’ ঘোষণা করা হয়েছে।

কানাডার আলবার্টার ক্যালগেরিতে করোনাভাইরাসে (কোভিড-১৯) আক্রান্ত বৃদ্ধির কারণে শহরটি নজরদারিতে রাখা হয়েছে।

আলবার্টার পৌরসভা বিষয়ক মন্ত্রী ট্রেসি আলার্ড করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আলবার্টার প্রিমিয়ার জেসন কেনি সেলফ আইসোলেশনে রয়েছেন।

আলবার্টার স্বাস্থ্য বিষয়ক চিফ মেডিকেল অফিসার ডা. ডীনা হিনসা সতর্ক করে বলেছেন, ভাইরাসের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে প্রদেশটিকে ‘ডেঞ্জার জোন’ এ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, গত দুই সপ্তাহে প্রদেশজুড়ে দৈনিক হাসপাতালে ভর্তির পরিমাণ ৩ দশমিক ১ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ অবস্থায় আমি উদ্বিগ্ন।

আলবার্টা প্রদেশের সরকার, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ও নীতি নির্ধারকরা মুখে মাস্ক ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সবাইকে পরামর্শ দিয়েছেন। পাশাপাশি হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারেরও পরামর্শ দিয়েছেন।

অন্যদিকে, কানাডার টরেন্টোতে কোভিড-১৯ টেস্টে পজিটিভ হার গত সপ্তাহে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ ছুয়েছে।

বুধবার বিকেলে সিটি হলে এক ব্রিফিংয়ের সময় স্বাস্থ্য বিষয়ক মেডিকেল অফিসার ডা. আইলিন ডি ভিলা বলেন, পজিটিভিটি হারটি কেবল একটি সূচক হলেও তা বৃদ্ধি উদ্বেগের কারণ। আক্রান্তের সংখ্যা এবং হাসপাতালে ভর্তির সংখ্যা বাড়ছে।

এদিকে, কানাডার ব্রিটিশ কলম্বিয়ায় স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা বুধবার জানিয়েছেন, ওইদিন নতুন ২০৩ জন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন, এটিই এখন পর্যন্ত একদিনে সর্বোচ্চ আক্রান্তের হার।

কানাডার আলবার্টায় ইতোমধ্যে শীত ও তুষারপাত শুরু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের অনেকেই মনে করছেন, একদিকে শীত, তুষারপাত আর অন্যদিকে করোনার প্রকোপ সব মিলিয়ে পরিস্থিতি আরও কঠিন হবে।

সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ২ লাখ ৫ হাজার ৯৫৪ জন, মারা গেছেন ৯ হাজার ৮২৬ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ১ লাখ ৭৩ হাজার ৫১৪ জন।

আরো সংবাদ