স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

১০০ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে!

একশ’ বছর বয়সে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেন নাটোর সদর উপজেলার দিঘাপতিয়া এলাকার আহাদ আলী মণ্ডল। কনে প্রতিবেশী অমেলা বেগম। তার বয়স ৮০।

৫০ হাজার ৬৫০ টাকা দেনমোহর নগদে পরিশোধের মাধ্যমে বিয়ের পিঁড়িতে বসেছেন আহাদ আলী। বুধবার (২১ অক্টোবর) দুপুরে বিয়ে হওয়ার খবর চাউর হলে দূর-দূরান্ত থেকে উৎসুক মানুষ নবদম্পতিকে একনজর দেখতে ভিড় জমান তাদের বাড়িতে।

শতবর্ষী আহাদ আলী মণ্ডলের স্ত্রী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। তার ছেলেমেয়ে, নাতিপতি আছে। বয়স হলেও বয়সের ভারে কাবু হননি তিনি। চোখে-মুখে দৃঢতা, চিন্তায় তারুণ্যের ছাপ। কারো সাহায্য ছাড়াই চলেন এখনও। কর্মেও সক্ষম, সপ্রতিভ।

একদিন আড্ডায়-আলোচনায় গ্রামবাসীরাই বললেন, ‘আপনি একা মানুষ। এখন হয়তো চলতে পারছেন। একটা সময়ে গিয়ে একা আর চলতে পারবেন না। তখন একান্ত কাছের কারো সাহায্য প্রয়োজন হবে।’

বলতেই বিয়ে করতে রাজি হয়ে গেলেন আহাদ আলী মণ্ডল। যেই রাজি সেই কাজ! গ্রামবাসীরাই ঠিক করে নিলেন প্রতিবেশি অমলা বেগমকে, যার বয়স ৮০।

অমেলা বেগমেরও সন্তান-সন্ততি, নাতিপতি সব আছে। কিন্তু স্বামী নেই। একাকিত্বের অবসান ঘটাতে সহসা তিনিও রাজি হয়ে গেলেন। ব্যস, সাথে সাথে বেজে ওঠলো বিয়ের সানাই।

যেন জীবনের প্রথম বিয়ে! সে অনুযায়ীই হয়েছে সবকিছু। পাগড়ি-শেরোয়ানি পরেছেন বর। আর কনে পরেছেন লাল টুকটুকে শাড়ি। খাবার-দাবারের আয়োজন ছিল ১০০ জনের। দুইপক্ষের সন্তান, নাতি-পতিদের উপস্থিতিতে হয়ে গেলো ব্যতিক্রমী, জমজমাট বিয়ে।

এদিকে, বিয়ের পর গ্রামবাসী নবদম্পতি ভ্যানে চড়িয়ে এলাকায় ঘুরে-বেড়িয়েছেন, আনন্দ-উৎসব করেছেন। উচ্ছ্বসিত নবদম্পতিও মানুষের অভ্যর্থনার জবাব দিচ্ছেন। হাসিমুখে মানুষের কাছে দোয়া চাইছেন জীবনের নতুন ইনিংসে।

আরো সংবাদ