কুয়েত প্রবাসীর মহতী উদ্যোগ : ১২ কোটি টাকায় নির্মিত হচ্ছে আলতাব নগর জামে মসজিদ

পীরগঞ্জের এক কুয়েত প্রবাসীর মহতী উদ্যোগে প্রায় ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে আধুনিক স্থাপত্য নির্মাণ শৈলীতে নির্মিত হচ্ছে ‘আলতাব নগর জামে মসজিদ’। উপজেলার চতরাহাটের সন্নিকটে আলতাব নগওে নির্মিত হচ্ছে এ দ্বিতল মসজিদটি ।

জানা গেছে, পীরগঞ্জ উপজেলার ইউনিয়নের চতরাহাটের প্রয়াত আলহাজ্ব আব্দুল গফুর মিয়ার পুত্র আলতাব হোসেন (৪৫)। তিনি দীর্ঘদিন ধরে সপরিবারে দুবাইয়ে বসবাস করে প্লাস্টিক কারখানার ব্যবসা করছেন। প্রবাসে থাকাকালীন তিনি তার জন্মস্থান পীরগঞ্জের চতরায় ২০১৬ সালের জানুয়ারীতে ৫ একর জমি ক্রয় করে ‘আলতাবনগর’ নামকরণ করেন। মানব কল্যাণে এক মহতী উদ্যেগে তিনি সেখানে মসজিদ, এতিমখানা, পারিবারিক ও সর্ব সাধারণের জন্য কবরস্থান প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা নিয়ে অবকাঠামো নির্মাণ শুরু করেন। এরই অংশ হিসেবে বর্তমানে আলতাব নগরেই দুবাইয়ের ডিজাইনে ৩৪ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট এ দ্বি-তল মসজিদ নির্মাণের কাজ চলছে। এটি নির্মাণে ব্যায় হবে প্রায় ১২ কোটি টাকা ।

সুত্রে আরও জানা গেছে, চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি আলতাব হোসেনের বাবা আলহাজ্ব আব্দুল গফুর মিয়া আধুনিকমানের আলতাব নগর জামে মসজিদের ভিত্তি স্থাপন করেন। এটি নির্মাণে ৩ বছর সময় লাগবে। ১’শ ফুট দৈর্ঘ্য এবং ৮০ ফুট প্রস্তের এ মসজিদটিতে এক সঙ্গে ২ হাজার মুসল্লি নামাজ আদায় করতে পারবেন। মসজিদের চার কোনায় ১’শ ফুট উচ্চতা বিশিষ্ট ৪ টি মিনার ও একটি সুউচ্চ গম্বুজ থাকবে। সমতল ভুমি থেকে ৭ ফুট উচু প্রথম তলার মেঝে এবং মেঝে থেকে ১৭ ফুট উচ্চতায় প্রথম তলার ছাদ নির্মান করা হয়েছে। প্রায় ১০ মাস পর দ্বিতীয় তলার ছাদও ১৭ ফুট উচ্চতায় ঢালাইয়ের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।

শুধু মসজিদ নির্মাণই নয় ইতিমধ্যে আলতাব নগর চত্বরে ১ হাজার ৫’শ টি সুপারি গাছ, ৬০টি আম গাছ, ৫০টি নারিকেল গাছ সহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ১’শ টি বনজ গাছের চারা রোপনের মাধ্যমে এক মনোরম প্রাকৃতিক পরিবেশের সৃষ্টি করা হয়েছে। ইতিপূর্বে আলতাব নগরের প্রবেশদ্বারে দৃষ্টি নন্দন সুউচ্চ গেইট নির্মান করা হয়েছে।

আলতাব নগরের সার্বিক এ পরিস্থিতির ব্যাপারে চতরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এনামুল হক শাহীন বলেন, আলতাব নগর জামে মসজিদটি নির্মিত হলে এলাকাটির পরিচিতি ও সম্মান বাড়াবে। ইতিমধ্যেই আলতাব নগর কবরস্থানে অনেক মরদেহ দাফন করা হয়েছে।

আলতাব নগরের প্রতিষ্ঠাতা আলতাব হোসেন বলেন, মহান আল্লাহর সন্তুষ্টির লক্ষ্যে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান গুলো প্রতিষ্ঠা করছি। আল্লাহ যেন প্রতিষ্ঠান গুলো ভালভাবে চলমান রাখেন। তিনি আরও বলেন, ‘আলতাব নগর’ এর সম্পদসমুহ ট্রাষ্টের মাধ্যমে পরিচালিত হবে এবং এ সব কাজের পিছনে আমার কোন রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নেই।