স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

বাংলাদেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন আসবে : অর্থমন্ত্রী

অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল বলেছেন, আপনারা ইতোমধ্যে শুনেছেন যে, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যদি কোনো ভ্যাকসিন আসে বাংলাদেশে আসতে হবে। বাংলাদেশের জনসংখ্যার ভিত্তিতে ভ্যাকসিন আসবে। এখানে অসমতার ভিত্তিতে কিছু হতে পারবে না।

শুক্রবার (৬ নভেম্বর) ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত ১৪তম আসেম অর্থমন্ত্রী সভায় অংশগ্রহণ শেষে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন অর্থমন্ত্রী। এবারের সভার আয়োজন করে বাংলাদেশ। করোনার কারণে ভার্চুয়ালি আয়োজিত এ সভায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভায় ভিডিও বক্তৃতার মাধ্যমে সবাইকে স্বাগত জানান। অর্থমন্ত্রী মুস্তফা কামাল এ সভায় সভাপতিত্ব করেন।

এ সভায় এশিয়া ও ইউরোপের ৪৫টি আসেম অংশীদার দেশের অর্থমন্ত্রী ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিনিধিরা এবং এশিয়া-ইউরোপ ফাউন্ডেশন (আসেফ) ও আশিয়ান ম্যাক্রোইকোনমিক রিসার্চ অফিস (আমরো) অংশগ্রহণ করেন। বিশ্বব্যাংক, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের প্রতিনিধিরা মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। এ সভার মূল প্রতিপাদ্য ছিল ‘কোভিড-১৯ মোকাবিলা : একটি শক্তিশালী, টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক পুনর্গঠন নিশ্চিতকরণ’।

এশিয়া ও ইউরোপের দেশগুলোর অর্থমন্ত্রীরা কী আলোচনা করলেন তা তুলে ধরে মুস্তফা কামাল বলেন, আপনারা সবাই জানেন, আজকের সভাটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এশিয়া ও ইউরোপ – এই দুইয়ের মাঝে একটা গেটওয়ে আসেম। আজকের সভার থিম ছিল করোনা মোকাবিলা।

শক্তিশালী টেকসই, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ভারসাম্যপূর্ণ পুনর্গঠন নিশ্চিত করা। শুধু করোনা নয়, এটি চলে গেলে দেশের অর্থনীতিকে ঘিরে সামাজিক স্তর, বিভিন্ন স্তরের যে ক্ষতবিক্ষত অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে, এসব বিষয় আলোচিত হয়েছে। এখন সবার অবস্থা এক রকম না। কোনো কোনো দেশের অবস্থা ভালো আছে। আমরাও ভালো আছি। কিন্তু অন্যান্য দেশের অবস্থা খুবই খারাপ।

এগুলো অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে মোকাবিলা করা দরকার। যত দেরি হবে, ততই সমস্যা বেড়ে যাবে। আজকের সভায় উঠে এসেছে যে, সবাই চেষ্টা করবে কত দ্রুত এই জাতীয় সমস্যাগুলোকে সমাধান করতে পারি। আমাদের অর্থনীতিকে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে যেতে পারি।

এক প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, সভায় অংশগ্রহণকারী সবার অবজেক্টিভ একটাই, নিজে বাঁচো অন্যকে বাঁচাও। আগে নিজেরা বাঁচতো, অন্যদের কথা ভাবতো না। কিন্তু এখন সবাই মনেপ্রাণে বিশ্বাস করে, নিজে ভালোভাবে বাঁচতে হলে অন্যকে বাঁচাতে হবে। সেই প্রতিপাদ্য বিষয়টিকে আরও গুরুত্ব দেয়া হয়েছে।

আরো সংবাদ