স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

আইপিএল আয়োজন করায় আমিরাতকে ১১৮ কোটি টাকা দিলো ভারত

গত মঙ্গলবার (১০ নভেম্বর) শেষ হয়েছে ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (আইপিএল) ক্রিকেটের ১৩তম আসর। টানটান উত্তেজনার টুর্নামেন্টে ৫৩ দিন ও ৬০ ম্যাচের লড়াই শেষে রেকর্ড পঞ্চমবারের মতো শিরোপা জিতে নিয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।

করোনাভাইরাস মহামারীর কারণে এবারের আইপিএলের পুরোটাই হয়েছে আরব আমিরাতে। ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনের কারণে আইপিএলের প্রথম ২০ ম্যাচ হয়েছিল আমিরাতে। এবার আর কোন উপায়ন্ত না দেখে পুরো আসরটাই আমিরাতে নিয়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)।

এজন্য অবশ্য বড় অঙ্কের অর্থও পরিশোধ করতে হয়েছে বিসিসিআইকে। টুর্নামেন্টের ৫৩ দিনে ৬০টি ম্যাচ আয়োজন করায় বিসিসিআইয়ের কাছ থেকে ১৪ মিলিয়ন ডলার (বাংলাদেশি মুদ্রায় ১১৮ কোটি টাকার বেশি) পেয়েছে আমিরাতের ক্রিকেট বোর্ড। ভারতের সংবাদমাধ্যম মুম্বাই মিরর জানাচ্ছে এ খবর।

সাধারণত এবারের আগে আইপিএলের প্রতি ম্যাচ আয়োজনের জন্য রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাগুলো ৬০ লাখ ভারতীয় রুপি পেত। এবারের আসরে সেটি বাড়িয়ে করা হয়েছে ম্যাচপ্রতি ১ কোটি রুপি। অর্থাৎ টুর্নামেন্টের ৬০ ম্যাচের জন্য দেয়া হতো ৬০ কোটি (৬৮ কোটি টাকার বেশি) রুপি।

কিন্তু আমিরাত এর চেয়েও ৫০ কোটি টাকা বেশি পেয়েছে। যা জন্ম দিয়েছেন নানান আলোচনার। ভারতে আইপিএল করা হলে প্রতিটি রাজসংস্থা অনুশীলন সুবিধা, নিরাপত্তা ও আনুসঙ্গিক সব আয়োজনের জন্য মূলত পেত ম্যাচপ্রতি ১ কোটি রুপি। যা বেশ যুক্তিযুক্ত হিসেবেই মেনে নিত ফ্যাঞ্চাইজিগুলো।

অথচ এবার আমিরাতে হওয়া আইপিএলে অনুশীলনের জন্য বাড়তি টাকা দিতে হয়েছে ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোকে এবং নিরাপত্তা নিয়েও ছিল না বড় কোনো প্রশ্ন। তবু ম্যাচপ্রতি প্রায় দ্বিগুণ অর্থ পেয়েছে শারজাহ, আবুধাবি ও দুবাই স্টেডিয়াম কর্তৃপক্ষ। এ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন এক ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিক।

এছাড়াও আইপিএলের কারণে প্রায় তিন মাস ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতের ১৪টি পাঁচ তারকা হোটেল পুরোটাই ভাড়া করে রেখেছিল দলগুলো। যা কি না দেশটির ব্যবসা খাতেও অবদান রেখে অনেক বেশি।

এ বিষয়ে আইপিএল চেয়ারম্যান ব্রিজেশ প্যাটেল, চিফ অপারেটিং অফিসার হেমাং আমিন এবং বিসিসিআই কোষাধ্যক্ষ অরুন ধুমালের সঙ্গে যোগাযোগ করেও কোন প্রতিউত্তর পায়নি মুম্বাই মিরর। একইভাবে আমিরাত ক্রিকেট বোর্ডের তরফ থেকেও কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি।

আরো সংবাদ