স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

গোল্ডেন মনির ১৮ দিনের রিমান্ডে

গাড়ি ও স্বর্ণ ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওরফে গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে পৃথক তিন মামলায় মোট ১৮ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

রবিবার (২২ নভেম্বর) অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের পৃথক দুই মামলায় ৭ দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক আবু বক্কর সিদ্দিক এবং মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন বিচারক মাসুদ উর রহমান। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

বিচারক জানান, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের দুই মামলায় সাত দিন করে যে রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে, তা একইসঙ্গে কার্যকর হবে। সেই হিসেবে তিন মামলায় আসামিকে মোট ১১ দিন রিমান্ডে থাকতে হবে। সূত্র জানায়, বাড্ডা থানার অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের আলাদা দুটি মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক ইয়াছিন গাজী সুষ্ঠু তদন্তের প্রয়োজনে সাত দিন করে মোট ১৪ দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক আবুবকর সিদ্দিক ১৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। অপরদিকে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক জানে আলম দুলাল সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে আদালতে হাজির করেন। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারক মাসুদ উর রহমান শুনানি শেষে ৪ দিনের রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

এদিকে রবিবার আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। অপরদিকে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে রিমান্ডের জোর দাবি জানান। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক রিমান্ডের এই আদেশ দেন।

এর আগে রবিবার (২২ নভেম্বর) সকালে র‌্যাব বাদী হয়ে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইন, অস্ত্র ও বিশেষ ক্ষমতা আইনে পৃথক তিনটি মামলা দায়ের করেন।

র‌্যাব-৩ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) বিনা রাণী দাশ বলেন, ‘অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখায় গ্রেফতার গোল্ডেন মনিরের বিরুদ্ধে দুটি মামলা হয়েছে। তাছাড়া ১০ দেশের মুদ্রা রাখায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে আরেকটি মামলা হয়েছে। মোট তিন মামলায় গ্রেফতার গোল্ডেন মনিরকে বাড্ডা থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।’

বাড্ডা থানা পুলিশ সূত্র জানায়, দুপুর ১২টার পর তাকে আদালতে এনে প্রত্যেক মামলার জন্য সাত দিন করে মোট ২১ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়।

চোরাচালানের দায়ে ২০০৭ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনে রাজধানীর বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা হয়।

ভূমির জালিয়াতি সম্পর্কে র‍্যাব জানায়, ২০০১ সালে তৎকালীন প্রভাবশালী মন্ত্রী, গণপূর্ত ও রাজউকের কর্মকর্তাদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সম্পর্ক স্থাপন করে তিনি রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ভূমি জালিয়াতি শুরু করেন। রাজধানীর বাড্ডা এলাকার রাজউকের ডিআইটি প্রজেক্টে প্রতারণার মাধ্যমে অনেক প্লট নিজের করে নেন। এভাবে রাজউক থেকে প্লট সংক্রান্ত সরকারি নথিপত্র চুরি করে এবং অবৈধভাবে রাজউকের বিভিন্ন কর্মকর্তাদের দাফতরিক সিল ব্যবহার করে রাজউক পূর্বাচলে, বাড্ডায়, নিকুঞ্জে, উত্তরায় এবং কেরানীগঞ্জে বিপুল সংখ্যক প্লট করেন। অভিযোগ আছে, তিনি বর্তমানে নামে-বেনামে দুই শতাধিক প্লটের অধিকারী। ২০১৯ সালে তার বিরুদ্ধে রাজউকের ৭০টি নথি নিজ কার্যালয়ে নিয়ে গিয়ে আইনবহির্ভূতভাবে হেফাজতে রাখার দায়ে দায়ের করা একটি মামলা চলমান রয়েছে। এছাড়া অনৈতিকভাবে দুর্নীতির আশ্রয় নিয়ে বিপুল পরিমাণ সম্পদ অর্জন করায় দুদক তার বিরুদ্ধে একটি মামলা করে। সেটাও চলমান রয়েছে।

আরো সংবাদ