স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

করোনা সনদ ছাড়া দেশে এলে নিজ খরচে কোয়ারেনটাইনে রাখার পরামর্শ

বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রমণ দেশে প্রবেশ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে দেশে আসার পূর্ববর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্টসহ আসার বিধান রয়েছে। কিন্তু অনেক যাত্রীই টেস্ট ও রিপোর্ট ছাড়া আসছেন। এমন অবস্থায় করোনা সনদ ছাড়া কেউ দেশে এলে তাকে নিজ খরচে কোয়ারেনটাইনে রাখার পরামর্শ দিয়েছে কোভিড-১৯ মোকাবিলায় গঠিত জাতীয় কারিগরি পরামর্শক কমিটি।

রোববার (২২ নভেম্বর) জাতীয় পরামর্শক কমিটির ২২তম সভায় এ বিষয়ে মতামত জানিয়ে বেশ কিছু সুপারিশ করা হয়েছে। কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লাহর সভাপতিত্বে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভা শেষে রোববার রাতে কমিটির পক্ষ থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ পরামর্শের বিষয়ে জানানো হয়েছে।

সভার সিদ্ধান্ত বিষয়ে জানিয়ে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বিদেশ থেকে আগত যাত্রীদের মাধ্যমে কোভিড-১৯ সংক্রমণ দেশে প্রবেশ প্রতিরোধের উদ্দেশ্যে দেশে আসার পূর্ববর্তী ৭২ ঘন্টার মধ্যে কোভিড নেগেটিভ রিপোর্টসহ আসার বিধান রয়েছে। কিন্তু অনেক যাত্রী টেস্ট ও রিপোর্ট ছাড়া আসছেন। এদের কোয়ারেন্টাইন এ রাখার জন্য প্রতিদিন এক হাজার টাকা করে যাত্রী প্রতি ১৪ হাজার টাকা সরকারের খরচ হচ্ছে। যাত্রীদের জন্যও ১৪ দিনের কোয়ারেন্টাইন কষ্টকর হচ্ছে। সরকারি প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন এর দায়িত্বপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী বিভাগ এ বিষয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়কে চিঠি দিয়েছে। বিস্তারিত আলোচনার পর সিদ্ধান্ত হয় যে-

ক) সমস্ত এয়ারলাইন এর কর্তৃপক্ষকে যাত্রার পূর্ববর্তী ৭২ ঘণ্টার মধ্যে RT-PCR দ্বারা কোভিড ১৯ পরীক্ষার নেগেটিভ রিপোর্ট ছাড়া যাত্রী পরিবহনে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা প্রয়োজন। এ নিয়ম কঠোরভাবে পালন করতে হবে।

খ) এয়ারপোর্ট (বিশেষত ঢাকা), সীপোর্ট ও ল্যান্ডপোর্ট সমূহে রিপোর্ট চেক করা বাধ্যতামূলক করতে হবে। ভুয়া রিপোর্ট সম্বন্ধে সতর্ক থাকতে হবে।

গ) কোন কারণে রিপোর্ট ছাড়া যাত্রী এলে তাকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হবে। এটা যাত্রীর নিজ খরচে করা যেতে পারে। এক/দুই দিনের মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থায় টেস্ট করে নেগেটিভ রিপোর্ট হলে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন থেকে ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। তবে প্রশাসনের তত্ত্বাবধানে তাদের বাড়িতে কোয়ারেন্টাইন নিশ্চিত করতে হবে। রিপোর্ট পজিটিভ হলে তাকে হাসপাতালে আইসোলেশনে রাথতে হবে। ইতোমধ্যে যারা কোয়ারেন্টাইনে রয়েছেন তাদের পরীক্ষার ব্যবস্থা করার পরামর্শ দেয়া হয়।

উপরোক্ত সুপারিশসমূহ জোরালোভাবে বাস্তবায়ন করা প্রয়োজন বলে পরামর্শ দেয় কারিগরি কমিটি। ব্যত্যয়কারীদের জরিমানা করা যেতে পারে বলেও পরামর্শ দিয়েছে কমিটি।

আরো সংবাদ