স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ম্যারাডোনার প্রয়াণ: তিন দিনের শোক আর্জেন্টিনায়

আর্জেন্টিনার কিংবদন্তি দিয়েগো ম্যারাডোনার প্রয়াণে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছে দেশটির সরকার। এক শোক বার্তায় দেশটির প্রেসিডেন্ট আলবের্তো ফেরনান্দেসের জানান, তিনি শুধু আমাদের আনন্দই দিয়েছেন। আমরা তার কাছে ঋণী। রাজ্যের সব দুয়ার দিয়েগোর জন্য খোলা।

কার্ডিয়াক অ্যারেস্টে বুধবার মারা যান ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ম্যারাডোনার। প্রায় একক প্রচেষ্টায় আর্জেন্টিনাকে ১৯৮৬ বিশ্বকাপ এনে দেওয়া এই তারকা দেশের মানুষের কাছে ছিলেন মহাতারকা।

আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট আলবের্তো ফেরনান্দেসের শোকবার্তায় উঠে এসেছে মানুষের প্রতি ম্যারাডোনার ভালোবাসা।

বিশ্ব ফুটবলের এই মহানায়ক দুই সপ্তাহ আগে মস্তিষ্কে স্ট্রোকের শিকার হন। ওই সময় তার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা হয়। সেরে উঠে নিজ বাসভবনেই ছিলেন ম্যারাডোনা। কিন্তু এবার আর ফেরানো যায়নি তাকে। ৬০ বছর বয়সে ওপারের বাসিন্দা হয়ে গেলেন এই আর্জেন্টাইন গ্রেট।

আর্জেন্টিনার ভাইস-প্রেসিডেন্ট ক্রিস্তিনা ফের্নান্দেসের সঙ্গেও দারুণ সম্পর্ক ছিল ম্যারাডোনার। শোক বার্তায় তিনিন বলেন, ভীষণ বেদনার…ভীষণ। একজন গ্রেট চলে গেল। বিদায় দিয়েগো, আমরা তোমাকে খুব ভালোবাসি।

আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ম্যারাডোনার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করে টুইট করেছে, আর্জেন্টিনা ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন ও সভাপতি ক্লদিও তাপিয়া আমাদের কিংবদন্তি ডিয়েগো আরমান্দো ম্যারাডোনার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করছেন। আপনি সব সময় আমাদের হৃদয়ে থাকবেন।

ম্যারাডোনাকে ক্রীড়া জগতের সবচেয়ে বিতর্কিত এবং সংবাদ হিসেবে উল্লেখযোগ্য ব্যক্তিবর্গের অন্যতম মনে করা হয়। ১৯৯১ সালে ইতালিতে ড্রাগ টেস্টে কোকেইনের জন্য ধরা পড়ায় ১৫ মাসের জন্য ফুটবল থেকে নিষিদ্ধ হন তিনি। ১৯৯৪ বিশ্বকাপে ইফিড্রিন টেস্টে ইতিবাচক ফলাফলের জন্য তাকে প্রতিযোগিতা থেকে বাদ দেওয়া হয়। ২০০৫ সালে তিনি তার কোকেইন নেশা ত্যাগ করেন। তার কড়া রীতি মাঝেমাঝে সাংবাদিক এবং ক্রীড়া সংশ্লিষ্টদের সাথে তার মতভেদের সৃষ্টি করে। ম্যানেজার হিসেবে খুব কম অভিজ্ঞতাসম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও ২০০৮ সালের নভেম্বরে তাকে আর্জেন্টিনা জাতীয় দলের কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়। ২০১০ বিশ্বকাপের পর চুক্তি শেষ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি আঠারো মাস এই দায়িত্বে ছিলেন।

আরো সংবাদ