স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

রামুতে মিনিবাস উল্টে নিহত ১, আহত ২১ জন

কক্সবাজারের রামু কাইম্যার ঘোনা স্টেশন এলাকায় যাত্রীবাহী মিনিবাস উল্টে একজন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অন্তত ২১ জন। রোববার (২৯ নভেম্বর) সকাল ৯টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়কে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মো. নুরুল ইসলাম (৫৫) উখিয়া উপজেলার রাজাপালং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের সিকদারবিলের মৃত সুলতান আহমেদের ছেলে।

আহতরা হলেন, মোটরসাইকেল আরোহী কক্সবাজার সদরের ঝিলংজা ইউনিয়নের হাজীপাড়ার শামসুল আলমের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২৬), গুরা মিয়ার ছেলে ওসমান গণি (২৭); মিনিবাস যাত্রী উখিয়া উপজেলার টেংখালীর মৃত সাব্বির আহমদের ছেলে সৈয়দ হোসেন (৩৫), মো. আবুল কাসেম (৪৫), তুতুরবিলের মো. আব্দুল গণির ছেলে বেলাল (১৮), রাজাপালংয়ের জয়নাল উদ্দিন (২৫)। বাকিদের নাম পাওয়া যায়নি।

স্থানীয় বাসিন্দা মুহাম্মদ ফারুক ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কক্সবাজার থেকে উখিয়া সড়কে চলাচলকারী সী-লাইন পরিবহনের একটি বাস (কক্স-ছ-১১-০১০১) যাত্রী নিয়ে উখিয়া থেকে কক্সবজার যাচ্ছিল। রামুর দক্ষিণ মিঠাছড়ির কাইম্যারঘোনা স্টেশন এলাকায় পৌঁছামাত্র হঠাৎ একটি পালসার মোটরসাইকেল (কক্স-ল-১১-৭৫৯৬) রাস্তার মাঝখানে চলে আসে। তখন নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে মোটরসাইকেলের সাথে ধাক্কা লেগে বাসটি উল্টে যায়।

এতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় সী-লাইন মিনিবাসে থাকা উখিয়ার বাসিন্দা নুরুল ইসলামের। আহত হন মোটরসাইকেলের দুই আরোহীসহ মিনিবাসে থাকা অন্তত ২১ যাত্রী। স্থানীয়রা এগিয়ে এসে আহতদের উদ্ধার করে চেইন্দা হোপ হসপিটাল ও কক্সবাজার সদর হাসপাতালে নেয়। তাদের মধ্যে বাইক আরোহী দুইজনকে আশংকাজনক অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানাে হয়েছে।

রামু হাইওয়ে পুলিশের ইনচার্জ পরিদর্শক আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, দুর্ঘটনাকবলিত গাড়ি দুটি জব্দ করা হয়েছে। মরদেহ রামু থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক।

আরো সংবাদ