স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

বিমানবন্দবে হয়রানি বন্ধে প্রধানমন্ত্রী বরাবর স্মারকলিপি

বর্তমান সরকার একটি প্রবাসী বান্ধব সরকার তাই বিমানবন্দরে যাত্রী হয়রানি বন্ধের ব্যাপারে বাংলাদেশ কন্সুলেট জেনারেল দুবাই এর পক্ষ থেকে এর সমাধানে কাজ করছে। তবে ভিজিট ভিসায় যেসমস্ত মানুষ আমিরাতে আসছে তারা যেন ঠিকভাবে ভিসা লাগাতে পারে সেদিকে সকলের খেয়াল রাখার আহবান জানিয়েছেন। অন্যথায় যারা ভিসিট ভিসা দিয়ে এদেশে লোক আনছেন, চাকরি দিতে পারবেন না এমন ব্যক্তিরা যারা কন্স্যুলেটে আন্ডারটেকিং দিছেন তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে জানিয়েছেন কন্স্যাল জেনারেল মোহাম্মদ ইকবাল হোসেন খান।

অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ ইউএই এর পক্ষ থেকে দুবাইয়ের বাংলাদেশ কনস্যুলেটে স্মারকলিপি প্রদান অনুষ্ঠানে তিনি কথা বলেন।

বাংলাদেশের বিমানবন্দরগুলোতে  কনট্রাক বাণিজ্য ও হয়রানি বন্ধের দাবিতে অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ ইউএই এর পক্ষ থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ।

গতকাল সোমবার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে অ্যাসোসিয়েশন আহ্বায়ক সাইফুদ্দিন আহমেদ ও সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান টিপুর স্বাক্ষরিত স্মারকলিপি দুবাইস্থ বাংলাদেশ কনস্যুলেটের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বরাবর প্রদান করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন ডেপুটি কন্সাল জেনারেল মোহাম্মদ সাহেদুল ইসলাম,কমার্শিয়াল কাউন্সিলার কামরুল হাসান।

অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বন্ধ থাকা সংযুক্ত আরব আমিরাতে ভিজিট ভিসায় বাংলাদেশীদের চাকুরী গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে দেশটির সরকার। কিন্তু বাংলাদেশের   বিমানবন্দরগুলোর ইমিগ্রেশনে  ভিজিট ভিসায় গমনকারীরা নানাভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছে।

তারা বলেন, ইমিগ্রেশনের কর্তৃপক্ষের কারণে বিদেশগামী যাত্রী এবং ট্রাভেল এজেন্সিসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর পাশাপাশি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশের শ্রমবাজার। তাই অবিলম্বে বাংলাদেশের ইমিগ্রেশনে অনিয়ম ও হয়রানি বন্ধের দাবি জানিয়েছেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ ইউএই নেতারা। হয়রানি বন্ধের দাবিতে দুবাই বাংলাদেশ কনস্যুলেটে স্মারকলিপি দিয়েছে সংগঠনটি।

তারা আরো বলেন, ২০১২ সাল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশিদের জন্য  শ্রমিক ভিসা বন্ধ থাকলেও করোনার ক্ষতি পুষিয়ে নিতে সম্প্রতি শ্রমিক ভিসা ট্রান্সফার ও ভিজিটে আসা ব্যক্তিদের শ্রমিক ভিসা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছে আরব আমিরাত সরকার। এমন সময় ইমিগ্রেশনে ভিজিট ভিসাধারীদের নানাভাবে হয়রানি করায় এ সুযোগটি কাজে লাগাতে পারছে না তারা।

ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষের অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার কথা জানান অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ ইউএই এর নেতৃবৃন্দ।

এদিকে, সংযুক্ত আরব আমিরাতে দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশের শ্রম বাজার বন্ধ থাকায় শ্রমিক সংকটে ভুগছিলো দেশটিতে  বাংলাদেশী বিনিয়োগকারীরা।

ভিজিট ভিসায় গমনকারীদের শ্রমিক ভিসা করার সুযোগ করে দেয়ায় সেই সংকট কাটিয়ে উঠতে যাচ্ছিলেন অনেকেই। অনেকে নতুন করে বিপুল অর্থ বিনিয়োগ করছেন। কিন্তু বাংলাদেশী ইমিগ্রেশন কর্মকর্তাদের কারণে সৃষ্ট সংকটের কারণে  হতাশ হয়ে পড়েছেন তারা। সংকট সমাধানে তাই দ্রুত পদক্ষেপ নিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগীরা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অ্যাসোসিয়েশন অব ট্রাভেল এজেন্ট অব বাংলাদেশ ইউএই ও তাকের এশিয়া ট্রাভেল ব্যবস্থাপনা পরিচালক সাইফুদ্দিন আহম্মেদ, অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব ও টিপু ট্রাভেলস এল এল সির ব্যবস্থাপনা পরিচালক হাবিবুর রহমান টিপু, ট্যুর কেয়ার ট্রাভেলস এর ব্যবস্থপনা পরিচালক মো. হারুন, আবেদ ট্রাভেলস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আলী আকবর, হেলমার্ক ট্রাভেলস এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক জামিলুর কাউম, মো. আরিফ, ইকবাল সরোয়ার, মো. সাজ্জাদ, মো. মাসুদ, মো. মাসুদ, মো. জাহাঙ্গীর আলম, ইউছুফ জামিল, পারভেজ আহম্মেদ, আকবর হোসেন, মো. আলী, আলী হোসেন, মোহায়মেনুল ইসলাম, আরিফ উদ্দিন, মাসুদ পারভেজ, তোজাম্মেল হোসেন, মাসুদুর রহমান, শাহিন আহাম্মেদ, সাজ্জাদ হোসেন, মো. সাহদাত হোসেন, আলী আকবর, মোহাম্মদ হোসেনসহ বিভিন্ন ট্রাভেল এজেন্টের নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।

আরো সংবাদ