স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

করোনার মধ্যেই কালো টাকা সাদা করেছেন ৩ হাজার ৩৫৮ জন

চলতি অর্থবছরে জুলাই থেকে ২৯শে নভেম্বর পর্যন্ত করোনার মধ্যেই কালো টাকা সাদা করেছেন ৩ হাজার ৩৩৫৮ জন। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে।

এনবিআরে জমা দেয়া রিটার্ন থেকে জানা যায়, নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, ফ্ল্যাট ও জমি কিনে কালো টাকা সাদা করেছেন ৩ হাজার ২২০ জন। সরকার এই খাত থেকে কর পেয়েছে ৩৮১ কোটি ৩১ লাখ টাকা। আর শেয়ারবাজারে বিনিয়োগের মাধ্যমে কালো টাকা সাদা করেছেন ১৩৮ জন। তাদের কাছ থেকে সরকার কর পেয়েছে ১৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

প্রসঙ্গত, এবারের বাজেট বলা হয়েছে দেশের প্রচলিত আইনে যাই থাকুক না কেন, ব্যক্তি শ্রেণির কর দাতাদের চলতি অর্থবছরে আয়কর রিটার্নে অপ্রদর্শিত জমি, বিল্ডিং, ফ্ল্যাট ও অ্যাপার্টমেন্টের প্রতি বর্গমিটারের ওপর নির্দিষ্ট হারে এবং নগদ অর্থ, ব্যাংকে গচ্ছিত অর্থ, সঞ্চয়পত্র, শেয়ার, বন্ড বা যেকোনও সিকিউরিটিজের ওপর ১০ শতাংশ কর দিয়ে আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন করলে কর্তৃপক্ষসহ কেই প্রশ্ন করতে পারবে না। একই সময় ব্যক্তিশ্রেণির করদাতারা পুঁজিবাজারে অর্থ বিনিয়োগ করলে, ওই বিনিয়োগের ওপর ১০ শতাংশ কর দিলে, আয়করসহ কোনও কর্তৃপক্ষ প্রশ্ন করবে না। এর বাইরে বিনিয়োগ চাঙা করতে বিদায়ী অর্থবছর থেকে অর্থনৈতিক অঞ্চল ও হাইটেক পার্কে কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দিয়ে আসছে সরকার। সেখানে বিনিয়োগ করলে বিনিয়োগকৃত অর্থের ১০ শতাংশ কর দিলেই প্রশ্ন করবে না এনবিআর।

২০২৪ সালের জুন মাস পর্যন্ত এই সুযোগ আছে। অবশ্য এখন পর্যন্ত কেউ হাইটেক পার্ক ও অর্থনৈতিক অঞ্চলে কালো টাকা বিনিয়োগ করেননি বলে জানা গেছে।

জানা গেছে, এই পর্যন্ত দেশে ১৭ বার কালো টাকা সাদা করার সুযোগ দেয়া হয়েছে। এতে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা সাদা হয়েছে। সবচেয়ে বেশি টাকা সাদা হয়েছে ২০০৭ ও ২০০৮ সালের তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। ওই সময় ৩২ হাজার ৫৫৮ ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান এই সুযোগ নিয়েছিল। তখন ৯ হাজার ৬৮৩ কোটি টাকা বৈধ করা হয়।

আরো সংবাদ