স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

আমিরাতের ৪৯ তম স্বাধিনতা দিবস ও আমাদের সম্পর্ক !

বন্ধুদেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাথে বাংলাদেশের সাথে যথেষ্ট মিল ও ভালোবাসার একটি সেতু বন্ধন রয়েছে।

রাজনীতি যতই হউক একটি জায়গায় আছে; যেখানে বস্তবতাই আমাদের একমাত্র উদাহরণ। ১৯৭১ সালের ০২ ডিসেম্বর বৃটিশ থেকে মুক্ত হয় সংযুক্ত আরব আমিরাত। অন্য দিকে একি বছর ১৬ই ডিসেম্বর পাকিস্তান থেকে মুক্ত হয় বাংলাদেশ। আজ আমিরাত ও বাংলাদেশ সৃষ্টির ৪৯ তম বছর। এরই মাঝে ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্রীয় সফরের মধ্যদিয়ে দেশটির সাথে বঙ্গবন্ধু ‘র দ্বি-পাক্ষিক চুক্তি হয়।

আর এই চুক্তির সাথে যে উদাহরণ আমরা দেখতে পাই, তা হলো সংযুক্ত আরব আমিরাতের জাতীর পিতা প্রয়াত রাষ্ট্রপতি শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের সাথে দ্বী-পাক্ষিক চুক্তিগুলি করেন বাংলাদেশের পক্ষে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।

এই ঐতিহাসিক চুক্তিগুলির মধ্যে একটি ছিল- দেশের শ্রমবাজার। যা সেই সময় করা হয়েছিলো, এর মাঝে দেশে অনেক সরকার আসলো গেলো কিন্তু এই শ্রম বাজারের কিছু মৌলিক পরিবর্তন হওয়া উচিৎ ছিলো এবং সেগুলি হয়নি।

তবে ২০১৪ সালে আমিরাত সরকারের মহামান্য রাষ্ট্রপতি শেখ খালিফা বিন জায়েদের আমন্ত্রণে বাংলা দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমিরাত সফর করলে দেশটির সাথে আবারও ১৯৭৪ সালের বাংলাদেশের শ্রমবাজারের চুক্তিগুলি সংস্কার করেন। এতে করে বাংলাদেশ নতুন করে শ্রমবাজার প্রসারের কিছু করনীয় খুঁজে পায়।

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দু’দেশের সম্পর্ক আরো জোরদার ও গুরুত্ববহ করার লক্ষে আমিরাতের মাননীয় উপ-রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী ও দুবাই এর শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রাশেদ আল মাকতুম ও শস্ত্রবাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বিন জাহেদ আল নাহিয়ান এর সাথে পৃথক পৃথক বৈঠকে মিলিত হন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।

যার মধ্যে দেশ দুটির সম্পর্ক আরো উন্নতির ক্ষেত্রে দুই দেশের জাতির পিতার সন্তানদের মাঝে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু কন্যা ১৯৭৪ সালের বঙ্গবন্ধু সফরে সময় আমিরাতের জাতির পিতা শেখ জায়েদ বিন সুলতান আল নাহিয়ানের স্মৃতি স্বরূপ একটি ছবি তাঁর পূত্র মাননীয় শস্ত্রবাহিনীর প্রধান মোহাম্মদ বিন জাহেদ আল নাহিয়ানের কাছে হস্তান্তর করেন। এরি মাঝে বাংলাদেশ আমিরাত সম্পর্কের উন্নতি হয়।

আজ ২ ডিসেম্বর আমিরাতের ৪৯বর্ষ স্বাধীনতা দিবস এবং ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ উৎযাপন করবে ৪৯ তম বিজয় দিবস। আগামী বছর দেশ দুটি সুবর্ণ জয়ন্তী বা (Golden Jubilee) তে পা রাখবে। বাংলাদেশ ও আমিরাত অর্থসামাজিক উন্নয়নের পথ আরো গতিশীল হবে এমনটাই প্রত্যাশা।

আন্তর্জাতিক সম্পর্ক উন্নয়ন বিষয়ক

সাংবাদিক, মাহাবুব হাসান হৃদয়

আরো সংবাদ