স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

আস্থা বাড়াতে করোনার টিকা নিচ্ছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক তিন প্রেসিডেন্ট

করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রসহ সারাবিশ্বেই অনেক মানুষের মধ্যে অনাস্থা রয়েছে। ফলে টিকা সহজলভ্য হলেও মানুষ তা গ্রহণে আগ্রহী না হলে তাতে সুফল মিলবে না। এতে করোনা পরিস্থিতি আরও জটিল হতে পারে। টিকা নিয়ে গণ-অনাস্থা দূর করতে এগিয়ে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ ও বিল ক্লিনটন। খবর সিএনএন ও রয়টার্সের।

সাবেক এই প্রেসিডেন্টরা প্রকাশ্যে করোনার টিকা নেবেন। এ ছবি ধারণ করে তা প্রচার করা হবে, যাতে জনগণের অনাস্থা দূর হয়। যুক্তরাষ্ট্র এখনও করোনার টিকা অনুমোদন দেয়নি। তবে যে কোনো মুহূর্তেই কর্তৃপক্ষ টিকার অনুমোদন দেবে বলে আশা করা হচ্ছে। সাবেক তিন প্রেসিডেন্ট টিকা নেওয়ার ঘোষণা দিলেও প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখন পর্যন্ত এ ব্যাপারে তার সিদ্ধান্ত জানাননি।

রাশিয়ায় আগামী সপ্তাহেই ব্যাপকহারে টিকাদান শুরু :রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভদ্মাদিমির পুতিন আগামী সপ্তাহে রাশিয়াজুড়ে কভিড টিকাদান কার্যক্রম শুরু করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, রাশিয়ায় উদ্ভাবিত স্পুটনিক-৫ টিকাটি পাওয়ার তালিকার শুরুতেই থাকবেন শিক্ষক ও চিকিৎসকরা। বুধবার রাশিয়ার মন্ত্রীদের সঙ্গে এক অনলাইন বৈঠকে অংশ নিয়ে পুতিন এ নির্দেশ দেন।

পুতিন বলেছেন, রাশিয়া আগামী কয়েক দিনের মধ্যেই ২০ লাখ ডোজ টিকা তৈরি করে ফেলবে। গত সপ্তাহে রাশিয়া দাবি করে, তাদের স্পুটনিক-৫ টিকাটি করোনাভাইরাসের বিরুদ্ধে ৯২ শতাংশ পর্যন্ত সুরক্ষা দিতে পারে।

ফাইজারের টিকার জরুরি ব্যবহার বিবেচনা করছে ডব্লিউএইচও :বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) জানিয়েছে, তারা করোনার টিকার বিষয়ে ফাইজার ও বায়োএনটেকের কাছ থেকে তথ্য পেয়েছে। এ টিকা জরুরি ব্যবহারের বিষয়টি তারা পর্যালোচনা করছে।

এদিকে, যুক্তরাজ্যে ফাইজার-বায়োএনটেকের করোনার টিকা ব্যবহারের অনুমোদন পাওয়ার সংবাদকে স্বাগত জানিয়েছেন ডব্লিউএইচওর জরুরিবিষয়ক শীর্ষ বিশেষজ্ঞ মাইক রায়ান। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের থামা উচিত নয়। আমাদের তিন থেকে চারটিরও বেশি টিকা দরকার।’

করোনার টিকা নকল হতে পারে- ইন্টারপোল : করোনার নকল টিকা বাজারে বিক্রি হতে পারে অথবা আসল টিকা চুরি হয়ে যেতে পারে বলে সতর্কতা জারি করেছে ইন্টারপোল। বুধবার নিজেদের ওয়েবসাইটে প্রকাশিত এক বার্তায় বিশ্বব্যাপী এ সতর্কতা জারি করেছে। বার্তায় বলা হয়েছে, ১৯৪টি সদস্য দেশের পুলিশ বাহিনীকে এ বিষয়ে অরেঞ্জ অ্যালার্ট দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, সংঘবদ্ধ একটি চক্র নকল টিকা বাজারে ও অনলাইন মাধ্যমে বিক্রির চেষ্টা করতে পারে।

সতর্কবার্তায় আরও বলা হয়েছে, বিভিন্ন দেশের সরকারগুলো ধীরে ধীরে গণটিকাদান কর্মসূচির দিকে এগোনোর চিন্তাভাবনা করছে। এখন অপরাধী চক্রগুলো টিকার সরবরাহকে বিনষ্ট করার চেষ্টা করতে পারে। এতে সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্য, এমনকি জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে।

আরো সংবাদ