স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সৈয়দা নিলুফার ইয়াজদানির কুলখানি অনুষ্ঠিত

চট্টগ্রাম অঞ্চলে মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক সৈয়দা নিলুফার ইয়াজদানির কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়েছে।

শুক্রবার রাজধানীতে বাংলা টিভির প্রতিষ্ঠাতা ভাইস চেয়ারম্যান সৈয়দ নিশাদ দস্তগীরের উত্তরা ৪ নং সেক্টরের বাসায় কুলখানি অনুষ্ঠিত হয়।

সৈয়দা নিলুফার ইয়াজদানি বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব সৈয়দ নিশাদ দস্তগীরের মা।

কুলখানি উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে সৈয়দা নিলুফার ইয়াজদানির আত্মার শান্তি কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।

এতে পরিবারের সদস্য, আত্মীয়স্বজন, বন্ধু, রাজনীতিক, ব্যবসায়ী, পদস্থ সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা, আইনজীবী, সাংবাদিক ও সুশীল সমাজের প্রতিনিধিসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণির বিশিষ্টজনেরা কুলখানিতে অংশ নেন। রত্নগর্ভা এই মায়ের বিয়োগব্যথায় সবাই ছিলেন বিষণ্ন।

এর আগে গত ১ ডিসেম্বর বিকেলে রাজধানী ঢাকার আল হেলাল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান সৈয়দা নিলুফার ইয়াজদানি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর। তিনি ৫ পুত্র ও ১ কন্যা সন্তান রেখে গেছেন।

মৃত্যুর কয়েক আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে সৈয়দা নিলুফার ইয়াজদানিকে ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে খুব দ্রুতই তিনি সেরে ওঠেন এবং তিনদিন পর চিকিৎসকরা বিপদমুক্ত বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু ১ ডিসেম্বর হঠাৎ করেই তাঁর শারিরীক অবস্থার অবনতি হয় এবং তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।

মায়ের এই আকস্মিক মৃত্যুতে দেশে বিদেশে অবস্থানরত ছেলে-মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন সবাই মুষড়ে পড়েন। মায়ের কারণেই সৈয়দ নিশাদ দস্তগীর বহু বছর ধরে বাংলাদেশে সপরিবারে অবস্থান করলেও কিছুদিন আগে চিকিৎসার জন্য ব্রিটেন গিয়ে মহামারীজনিত কারণে আটকা পড়েন।

তাঁর মায়ের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরপরই তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ, বাংলা টিভির এমডি সৈয়দ সামাদুল হক, সরকারের পদস্থ কর্মকর্তা, রাজনীতিবিদসহ অনেকেই ছুটে যান মরহুমার বাসায় এবং তাঁরা শোকাহত পরিবারের স্বজনদের সান্ত্বনা দেন।

শোকবার্তা দিয়ে সৈয়দা নিলুফার ইয়াজদানির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। পৃথক শোকবার্তা দিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ ও আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ বিভিন্ন মহল।

উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ শহরের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্ম নেন ইয়াজদানী। মুক্তিযুদ্ধের সময় বৈবাহিক সূত্রে চট্টগ্রামে অবস্থান করেন তিনি, তখন সংগঠকের ভূমিকা পালন করেছেন। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গেও ছিল তাঁর সক্রিয় সম্পৃক্ততা। রত্নগর্ভা মহীয়সী এই নারী ব্যক্তিজীবনে বিভিন্ন সামাজিক কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত ছিলেন।

আরো সংবাদ