স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

একদিনে ১৫ হাজারেরও বেশি প্রাণ কেড়ে নিলো করোনা

অন্যান্য বছরের মতো বিদায়ী ২০২০ সালটিও শুরু হয়েছিল নতুন কিছুর প্রত্যাশা নিয়ে। কিন্তু বছরের শুরুতেই আঘাত হানল করোনাভাইরাসের মহামারি। এর জেরে দেশে দেশে লকডাউন, কোথাও চলাচলের ওপর বিধিনিষেধে জনজীবন গেল থমকে। বেকার হলো বহু মানুষ। তবে এর চেয়েও ভয়াবহ বিষয়টি হলো, করোনায় আক্রান্ত হয়ে প্রাণ গেছে লাখ লাখ মানুষের। বছরের শেষদিনেও রেহাই নেই, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৫ হাজারেরও বেশি প্রাণ কেড়ে নিয়েছে ভাইরাসটি। যা করোনাকালে বিশ্বে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু।

বৃহস্পতিবার (৩১ ডিসেম্বর) জনস হপকিনস ইউনিভার্সিটির করোনাভাইরাস রিসোর্স সেন্টারের তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন আট কোটি ২৬ লাখ ৬৩ হাজার ৯৪৫ জন এবং মারা গেছেন ১৮ লাখ চার হাজার ১৩৮ জন। এ ছাড়া সুস্থ হয়েছেন চার কোটি ৬৬ লাখ ৮৪ হাজার ৫৩ জন।

মহামারির এক বছর পার হতে চললেও এখনো স্বাভাবিক হলে না কোনো কিছু, বরং দিনে দিনে সংক্রমণ ও মৃত্যুর ঊর্ধ্বগতি চোখ রাঙাচ্ছে।

যুক্তরাষ্ট্র : করোনাভাইরাসে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু যুক্তরাষ্ট্রে। প্রথমবারের মতো এদিন প্রায় চার হাজার মানুষ মারা গেছে শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি ৯৭ লাখ ৩৯ হাজার ৫০২ জন এবং মারা গেছেন তিন লাখ ৪২ হাজার ৩১২ জন।

ভারত : ভারতে আক্রান্ত হয়েছেন এক কোটি দুই লাখ ৬৬ হাজার ৬৭৪ জন, মারা গেছেন এক লাখ ৪৮ হাজার ৭৩৮ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৯৮ লাখ ৬০ হাজার ২৮০ জন।

ব্রাজিল : দক্ষিণ আমেরিকার দেশ ব্রাজিলে। দেশটিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৭৬ লাখ ১৯ হাজার ২০০ জন, মারা গেছেন এক লাখ ৯৩ হাজার ৮৭৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৬৮ লাখ ১৪ হাজার ৯২ জন।

মেক্সিকো : মেক্সিকোতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে এখন পর্যন্ত এক লাখ ২৪ হাজার ৮৯৭ জন মারা গেছেন। আক্রান্ত হয়েছেন ১৪ লাখ ১৩ হাজার ৯৩৫ জন। এ ছাড়া, সুস্থ হয়েছেন ১০ লাখ ৬৬ হাজার ৭৭১ জন।

অন্যান্য : তালিকায় রাশিয়ার অবস্থান চতুর্থ। ফ্রান্স পঞ্চম। যুক্তরাজ্য ষষ্ঠ। তুরস্ক সপ্তম। ইতালি অষ্টম। স্পেন নবম। আর্জেন্টিনা দশম। তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ২৭তম।

চীন : ভাইরাসটির সংক্রমণস্থল চীনে আক্রান্ত হয়েছেন ৯৫ হাজার ৭২০ জন, মারা গেছেন চার হাজার ৭৭৫ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৮৯ হাজার ৫৮৬ জন।

বাংলাদেশ : স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, দেশে এখন পর্যন্ত করোনাভাইরাসে আক্রান্ত পাঁচ লাখ ১২ হাজার ৪৯৬ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। মারা গেছেন সাত হাজার ৫৩১ জন। আর সুস্থ হয়েছেন চার লাখ ৫৬ হাজার ৭০ জন।

আরো সংবাদ