স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

নতুন বছর হবে ভ্যাকসিনময়

করোনা মহামারি শুরু চীনের উহানে হলেও সারা বছর পুরো বিশ্বে দাপিয়ে বেড়িয়েছে। বিশ্লেষকের ধারণা, এর রেশ ২০২১ সালেও থেকে যাবে। এই মহামারির প্রতিষেধক হচ্ছে ভ্যাকসিন বা টিকা। প্রতিবছর কিছু পাওয়ার ও হারানোর হয়ে থাকে। তেমনি ২০২১ সালে বিশ্ব হারানোর চেয়ে বেশি পেতে চাইবে এবং সেটি হচ্ছে ভ্যাকসিন। হয়তো নতুন বছর পুরোটাই ভ্যাকসিনময় হয়ে থাকবে।

করোনা মহামারির শুরু থেকেই একটি কার্যকর ও নিরাপদ ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের প্রাণান্ত চেষ্টা চলছে। সেই চেষ্টাই যেন বছরের শেষে এসে আশার আলো দেখিয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত হালনাগাদ তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বজুড়ে করোনার ২৩৩টি ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের কাজ চলছে। এর মধ্যে মানবদেহে পরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে রয়েছে ৬১টি ভ্যাকসিন।

ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের কাজ চলছে ২৩৩টি

মানবদেহে পরীক্ষার বিভিন্ন পর্যায়ে আছে ৬১টি

এগুলোর মধ্যে আলোচনায় রয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান ফাইজার ও মডার্নার দুটি ভ্যাকসিন, যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ওষুধ প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকার যৌথভাবে উদ্ভাবিত ভ্যাকসিন, রাশিয়ার গামালেয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের ভ্যাকসিন স্পুটনিক-ভি, চীনের সিনোভ্যাক ও সিনোফার্মের ভ্যাকসিন সবচেয়ে বেশি আলোচনায় রয়েছে।

এ ছাড়া যুক্তরাজ্য অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের অনুমোদন দিয়েছে। কিনে হুমকিতে ফেলে দিয়েছে দরিদ্র দেশগুলোকে। পিপলস ভ্যাকসিন অ্যালায়েন্স নামের একটি জোট সম্প্রতি জানিয়েছে, ধনী দেশগুলোর মোট জনসংখ্যা বিশ্বের মোট জনসংখ্যার মাত্র ১৪ শতাংশ। কিন্তু তারা মোট চাহিদার ৫৩ শতাংশ ভ্যাকসিন কিনে রেখেছে। এতে স্বল্প আয়ের প্রায় ৭০টি দেশ তাদের জনগোষ্ঠীর প্রতি ১০ জনে ১ জনকে  দিতে পারবে।

যুক্তরাষ্ট্রের ডিউক ইউনিভার্সিটি, ইউনিসেফ ও বিজ্ঞানবিষয়ক বিশ্লেষক প্রতিষ্ঠান এয়ারফিনিটি বিভিন্ন দেশের ভ্যাকসিনের কেনার চুক্তি সংগ্রহ করেছে। হু বলছে এই  চুক্তি বিশ্লেষণ করে বোঝা গেছে, ইউরোপীয় ইউনিয়ন যে পরিমাণ ভ্যাকসিন কিনেছে, তাতে এই জোটের দেশগুলোয় প্রত্যেক মানুষকে দুবার করে ভ্যাকসিন দেওয়া যাবে। যুক্তরাজ্য ও যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যেক নাগরিককে দিতে পারবে চার ডোজ করে ভ্যাকসিন। কানাডা যে পরিমাণ ভ্যাকসিন কিনেছে, তাতে দেশটির প্রত্যেক নাগরিককে ছয় ডোজ করে টিকা দেওয়া যাবে।

অবশ্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভ্যাক্স কর্মসূচির আওতায় ভ্যাকসিন সংগ্রহের চেষ্টা করছে। সর্বশেষ খবর অনুযায়ী, এই কর্মসূচির আওতায় এ পর্যন্ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ২০০ কোটি ডোজ ভ্যাকসিন কেনার চুক্তি হয়েছে। সংস্থাটি বলেছে, কোভ্যাক্স কর্মসূচিতে অংশগ্রহণকারী ১৯০টি দেশেই ২০২১ সালের প্রথমার্ধে ভ্যাকসিন সরবরাহ সম্ভব হতে পারে।

আরো সংবাদ