স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ফোর্বস-এর চোখে আলোচিত ১০ ক্ষমতাধর ব্যক্তি

১ শি জিন পিং

তাঁর হাত ধরেই সুপার পাওয়ার হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে চীন

বর্তমানে বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর আলোচিত ব্যক্তি শি জিন পিং। তিনি চীনের কমিউনিস্ট পার্টির মহাসচিব ও বর্তমান রাষ্ট্রপতি। আরও আগেই চীনের সংসদে সংসদ সদস্যরা আইন পরিবর্তন করে শি জিন পিংকে আজীবন ক্ষমতায় থাকার অনুমোদন ও ক্ষমতা বৃদ্ধি করে দিয়েছেন। ফোর্বস বলছে, স্থানীয়ভাবে এমন আস্থা ও ক্ষমতাই শি জিন পিংকে তালিকার শীর্ষে নিয়ে এসেছে। বিশ্লেষকরা বলে থাকেন, বিংশ শতাব্দী যদি যুক্তরাষ্ট্রের হয়, একবিংশ শতাব্দী হবে চীনের। ২০ বছর আগেও যে চীনকে মনে হয়নি তারা কখনো সুপার পাওয়ার হতে পারে, সেই চীনই এখন যুক্তরাষ্ট্রকে টেক্কা দিচ্ছে। বাণিজ্যযুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে জবাব দিচ্ছে চীন। বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ককে অনেকে দ্বিতীয় স্নায়ুযুদ্ধ বলে থাকেন। চীন যার হাত ধরে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে সুপার পাওয়ার হওয়ার স্বপ্ন দেখছে তিনি চীনের বর্তমান এই চৌকস  প্রেসিডেন্ট শি জিন পিং।

২ ভ্লাদিমির পুতিন

প্রথম করোনা ভ্যাকসিনের ঘোষণা দেন তিনি

দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। তিনি ১৯৯৯ সাল থেকে আজ অবধি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নয়তো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন। বর্তমানে তিনি ২০১২ সাল থেকে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট হিসেবে কাজ করছেন। এ ছাড়াও ২০০৮ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত তিনি ইউনাইটেড রাশিয়া দলের সভাপতি এবং রাশিয়া ও বেলারুশের মন্ত্রিসভার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। দুই দশকের বেশি সময় ধরে বিশ্বের সবচেয়ে বড় দেশটির ক্ষমতাধর নেতা হচ্ছেন ভ্লাদিমির পুতিন। তাঁর বয়স ৬৭। রাশিয়ায় অনেক তরুণ ভোটার আছেন, যারা তাদের জীবনে ভøাদিমির পুতিন ছাড়া আর কাউকে দেশটির নেতা হিসেবে দেখেননি। পুতিনের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর বিচ্ছেদ হয়ে গেছে। এ বছর পুতিন ঘোষণা করেছিলেন, বিশ্বে প্রথম করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে আসবে রাশিয়া।  সেই মতো রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তাঁর কথা রেখেছেন বিশ্ববাসীর সামনে।

৩ ডোনাল্ড ট্রাম্প

গোটা বিশ্বের জন্যই বিস্ময়কর ট্রাম্পের শাসনকাল

তৃতীয় অবস্থানে আছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ৪৫তম রাষ্ট্রপতি। এ ছাড়াও তিনি একজন ধনাঢ্য ব্যবসায়ী, বিনিয়োগকারী, বিশিষ্ট সামাজিক ব্যক্তিত্ব ও লেখক হিসেবে আলোচিত। তিনি দ্য ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের পরিচালক এবং ট্রাম্প এন্টারটেইনমেন্ট রিসোর্টের প্রতিষ্ঠাতা। গোটা বিশ্বের জন্যই বিস্ময়কর ছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের চার বছরের মেয়াদকাল। সেই মেয়াদকালের বাইরেও তাঁর অঘটনগুলো জন্ম দিয়েছে নানা বিতর্ক। কখনো তিনি বিরোধীপক্ষ বা ব্যক্তিকে অবিশ্বাস্যভাবে কাছে টেনেছেন। আবার আপনজনদের দূরে ঠেলে দিয়েছেন। নানা রকম মন্তব্য করে সবসময়ই আলোচনায় থেকেছেন এই বিদায়ী প্রেসিডেন্ট। নির্বাচনে হেরে যাওয়ার কথা স্বীকার করতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এখনো গররাজি।  তবে ট্রাম্পের প্রচার শিবির থেকে পরাজয় মেনে নেওয়ার আলামত স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।

৪ অ্যাঙ্গেলা মেরকেল

শীর্ষ প্রভাবশালী নারী

বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতি ও সামরিক সুসজ্জিত দেশের চ্যান্সেলর হিসেবে তিনি বিশ্বরাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। জার্মানির চ্যান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর নারী হিসেবে স্বীকৃত। আন্তর্জাতিক মিডিয়াগুলোর নানা জরিপে বরাবরই তাঁর নাম থাকছে প্রভাবশালী নারী রাজনীতিবিদ হিসেবে। এ বছরও ফোর্বস ম্যাগাজিনের বিবেচনায় বিশ্বের সবচেয়ে প্রভাবশালী নারী তিনি। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ অর্থনীতি ও সামরিক সুসজ্জিত দেশের চ্যান্সেলর হিসেবে তিনি বিশ্বরাজনীতিতে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি। বিশ্বরাজনীতির পালাবদলে তাঁর দূরদর্শী সিদ্ধান্ত ইতিমধ্যে আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে প্রশংসা কুড়িয়েছে। ক্ষমতাধর রাজনীতিবিদ এখনো সেলুনে গিয়ে অন্যদের মতো চুল কাটান, কোনো বিশেষ ছাড় তিনি নেন না। তাঁর ব্যক্তিগত ক্যারিয়ার, অর্থনীতি ও রাজনীতিতে প্রভাব বিস্তারের ক্ষমতা, গণমাধ্যমে পারফরম্যান্স বিবেচনা, জার্মানিতে প্রায় ১০ লাখ সিরীয় শরণার্থীকে আশ্রয় দেওয়া এবং তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বের জন্য আবারও বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর  নারীর তালিকার শীর্ষে তিনি।

৫ জেফ বেজোস

সবচেয়ে ধনী ব্যক্তি

অ্যামাজন সাম্রাজ্যের অধিপতি জেফ বেজোস। ২০১০ সালে তিনি ছিলেন বিশ্বের ৪৩তম শীর্ষ ধনী। আর বর্তমানে তিনি ১০৯ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলারের মালিক। গত ১০ বছরে তাঁর সম্পদ বেড়েছে ৯৭ দশমিক ৪ ডলার। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় রেইনফরেস্ট অ্যামাজন নয়, বলা হচ্ছে অনলাইনের সবচেয়ে বড় মার্কেটপ্লেস অ্যামাজন ডটকমের কথা। অ্যামাজনের প্রধান নির্বাহী জেফ বেজোস। অ্যামাজন ডটকমের ১৭% শেয়ার এখন তাঁর নামে। অ্যামাজন বিশ্বের এক নম্বর প্রতিষ্ঠান যেটি সবচেয়ে দ্রুত ১০০ বিলিয়ন বিক্রির রেকর্ড গড়েছে। ১৯৯৪ সালে অনলাইনে বই বিক্রির সাধারণ আইডিয়া নিয়ে জেফ বেজোস যাত্রা শুরু করেছিলেন। অনলাইনে কেনাকাটার সেই ধারণা প্রাতিষ্ঠানিক রূপ নিয়ে অ্যামাজন ডটকম রীতিমতো গোটা বিশ্বকেই চমকে দিয়েছে। বেতন, বোনাস, শেয়ার ও অন্যান্য খাত থেকে বছরে তাঁর আয় হয় ১৬ লাখ ৮১ হাজার ডলার। দীর্ঘ সময় সাহসী উদ্যোক্তার মতোই প্রতিষ্ঠানটিকে টেনে নিয়ে যান জেফ। একটি লাভজনক প্রতিষ্ঠান তৈরির চেয়ে একটি দীর্ঘস্থায়ী  প্রতিষ্ঠানের ব্যাপারেই মনোযোগী ছিলেন এই উদ্যোক্তা।

৬ পোপ ফ্রান্সিস

একজন উদারনৈতিক বিশ্ব চেতনার অধিকারী

ষষ্ঠ অবস্থানে আছেন আর্জেন্টিনার নাগরিক ভ্যাটিক্যান সিটির পোপ ফ্রান্সিস। তিনি রোমান ক্যাথলিক চার্চের পোপ ও খ্রিস্টানদের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু। বিশ্বব্যাপী ক্যাথলিক চার্চের প্রধান তিনি। পোপ ফ্রান্সিস এমন অনুকরণীয় ব্যক্তিত্ব যিনি উদারনৈতিক বিশ্বচেতনার অনুসারী। তাঁর মূল্যবোধ পৃথিবীর সব মানুষকে যুক্ত করে এবং কাউকেই বাদ দেয় না। ২০১৩ সালের ১৩ মার্চ পোপ নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত বিশ্বের ১২০ কোটি ক্যাথলিক খ্রিস্টবিশ্বাসীর সর্বোচ্চ ধর্মগুরু বহুমাত্রিক পরিবর্তনের অগ্রদূত হিসেবে কাজ করে আসছেন। তিনি দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ তথা দক্ষিণ গোলার্ধের প্রথম পোপ এবং প্রায় ১ হাজার ৩০০ বছরের মধ্যে প্রথম অ-ইউরোপীয় পোপ। পোপ ফ্রান্সিস বলেন, প্রভুর আজ্ঞা অনুধ্যান করে তোমরা দেখবে। যা পড় তা যেন বিশ্বাস কর। যা বিশ্বাস কর তা শিক্ষা  দাও এবং যা শিক্ষা দাও তা অনুশীলন কর।

৭ বিল গেটস

মানবতার সেবায় নিজেকে উজাড় করে দিচ্ছেন

বাবা-মা চেয়েছিলেন বিল গেটস আইনজীবী হোক। কিন্তু বিল গেটস সারা দিন পড়ে থাকতেন কম্পিউটার নিয়ে। স্কুলেই প্রোগ্রামিংয়ে হাতেখড়ি তাঁর। নিজে নিজেই লিখে ফেলেন গেমিং প্রোগ্রামিং। স্কুল থেকে বহিষ্কার হন নীতিবিরুদ্ধ অপারেটিং সিস্টেম চালানোর জন্য। উল্টো হার্ভার্ডে এসে প্রোগ্রামিংয়ে আরও মনোযোগী হন তিনি। স্যাট পরীক্ষায় ১৬০০ নম্বরে ১৫৯০ পেয়েও পড়াশোনা ছেড়ে দেন তিনি। বন্ধু পল অ্যালেনকে নিয়ে গড়ে তোলেন মাইক্রোসফট। উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম এনে বদলে দিলেন পুরো কম্পিউটার জগৎ। মাইক্রোসফট হয়ে উঠল বিশ্বের শীর্ষ টেক কোম্পানির একটি। সেই সাফল্যেই এলো হাজার হাজার কোটি টাকা। টানা প্রায় দেড় দশক বিশ্বের শীর্ষ ধনীর আসনে ছিলেন মাইক্রোসফটের সহপ্রতিষ্ঠাতা বিল গেটস। মানবতার সেবায় নিজেকে বিলিয়ে যাচ্ছেন এই ধনকুবের। তবু সম্পদ বাড়ছেই। তাঁর মোট সম্পত্তি ৯৮  বিলিয়ন ডলার।

৮ মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ

পৃথিবীর সবচেয়ে কম বয়সী প্রতিরক্ষামন্ত্রী

মোহাম্মদ বিন সালমান আল সৌদ হলেন সৌদি আরবের যুবরাজ, উপপ্রধানমন্ত্রী এবং পৃথিবীর সবচেয়ে কম বয়সী প্রতিরক্ষামন্ত্রী। তিনি আল সৌদ রাজদরবারের প্রধান এবং অর্থনৈতিক ও উন্নয়ন বিষয়ক কাউন্সিলের চেয়ারম্যান। ২০১৭ সালের শুরুতে পরিবারের আর ১০টা প্রিন্সের মতো ছিল তাঁর অবস্থান। তবে ক্যালেন্ডারের পাতা যত উল্টাল, তাঁর অবস্থান ততই বদলে যেতে থাকল। ক্ষমতাবান হয়ে উঠলেন তিনি। একের পর এক ঘটনায় উঠে এলো তাঁর নাম। তিন বছর ধরে নানা খেলা দেখিয়ে আলোচিত ব্যক্তি হিসেবে নাম লেখান তিনি। সৎভাই আবদুল্লাহর মৃত্যুর পর সৌদির সিংহাসনে বসেন বাদশাহ সালমান। প্রথমে ভাতিজা মোহাম্মদ বিন নায়েফকে ক্রাউন প্রিন্স অর্থাৎ রাজবংশের পরবর্তী উত্তরসূরি ঘোষণা করেন। আর ছেলে মোহাম্মদ বিন সালমানকে করেন ডেপুটি ক্রাউন প্রিন্স। অনেকে বলেন, ভাতিজাকে সামনে রেখে আসলে ছেলেকে উত্তরসূরি হিসেবে প্রস্তুত করাই ছিল তাঁর লক্ষ্য।

৯ নরেন্দ্র মোদি

বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক তাঁর

ভারতের গুজরাট রাজ্যের এক রেলস্টেশনে চা বিক্রি করতেন বালক নরেন্দ্র মোদি। তারপর এক সময় নাম লেখালেন রাজনীতিতে। তিনি ভারতের পঞ্চদশ প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ইতিহাসে নাম লিখিয়েছেন। তিনি বিজেপি দলের মাধ্যমে ২০১৪ সালে ক্ষমতায় আসেন। বর্তমানে তিনি ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ফোর্বসের তালিকায় বিশ্বের ক্ষমতাশালী আলোচিত ব্যক্তির তালিকায় নবম স্থানে জায়গা করে নিয়েছেন মোদি। বেশ কয়েক বছর ধরেই তিনি নিজের অবস্থান ধরে রেখেছেন। পেছনে ফেলেছেন বিশ্বের বাঘা বাঘা সব নেতৃত্বকে। মোদির জনপ্রিয়তা নিয়ে পত্রিকায় বলা হয়েছে, ‘ভারতের কোটি কোটি মানুষের কাছে আজও সমান জনপ্রিয় মোদি। ২০১৬ সালে ৫০০ এবং ১০০০ টাকার নোট বাতিল করে দুর্নীতিমুক্ত ভারত গড়ার ডাক দিয়ে আলোড়ন ফেলেছিলেন তিনি।’ পত্রিকায় আরও বলা হয়েছে, বিশ্বনেতাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নিজেকে বিশ্বমানের নেতা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে পেরেছেন তিনি। জলবায়ু সংরক্ষণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে  আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও নজর কেড়েছেন মোদি।

১০ ল্যারি পেজ

আড়ালে থাকতে ভালোবাসেন

দশম অবস্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের কম্পিউটার বিজ্ঞানী গুগলের প্রতিষ্ঠাতা এবং ইন্টারনেট উদ্যোক্তা অ্যালফাবেটের প্রেসিডেন্ট ল্যারি পেজ। ১৯৭৩ সালের ২৬ মার্চ যুক্তরাষ্ট্রের মিশিগানে জন্মগ্রহণ করেন লরেন্স অ্যাডওয়ার্ড পেজ যিনি ল্যারি পেজ নামেই পরিচিত। তিনি ছিলেন বাবা কার্ল ভিক্টর পেজ এবং মা গ্লোরিয়া পেজের দ্বিতীয় সন্তান। বাবা ছিলেন মিশিগান স্টেট ইউনিভার্সিটির কম্পিউটার সায়েন্স ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের অধ্যাপক। গুগল সার্চ ইঞ্জিন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের এক অপরিহার্য অংশ হয়ে দাঁড়িয়েছে। গুগল আমাদের যতটা কাছে থাকে এর সহ-প্রতিষ্ঠাতা ল্যারি পেজ ততটাই থাকেন পর্দার আড়ালে। তাই তাঁর সম্পর্কে বেশি কিছু জানা যায় না। বড় কোম্পানির সিইওরা যেখানে সুপারস্টারদের মতো চলাফেরা করেন, ল্যারি পেজ সেখানে ব্যতিক্রম। ব্যক্তিগত ও পারিবারিক জীবন সবার থেকে দূরেই রাখেন। মিডিয়াতেও তাঁকে খুব বেশি দেখা যায় না। ২০০৭ সালে বিয়ে করেন রিসার্চ সায়েন্টিস্ট লুসিন্ডা সাউথওর্থকে। স্ত্রী এবং দুই বাচ্চার সংসার  নিয়ে থাকেন পালো আল্টোতে।

আরো সংবাদ