স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

বিমানবন্দরে চাকরির নামে প্রতারণা, গ্রেপ্তার তিন

হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন টার্মিনাল-৩ এ চাকরির ভুয়া নিয়োগপত্র দেখিয়ে ১৫০ জনের কাছ থেকে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে দর্পণ গ্রুপ নামের একটি ভুয়া প্রতিষ্ঠান। টার্মিনালের শ্রমিক ও সুপারভাইজার পদে চাকরি পেতে জনপ্রতি ৫০ হাজার থেকে লাখ টাকা পর্যন্ত নিয়েছে তারা।

এমন অভিযোগের ভিত্তিতে চক্রের মূল হোতাসহ ওই প্রতিষ্ঠানের তিন প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। গ্রেফতারকৃতরা হলেন দর্পণ গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. জহিরুল ইসলাম সোহাগ (৫২), ব্যবস্থাপনা পরিচালক হেনা জহির ও ম্যানেজার মিন্টল রায় ওরফে অপূর্ব রায়। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে সিআইডি কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান সিআইডির অতিরিক্ত ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক।

তিনি বলেন, ভুয়া এই প্রতিষ্ঠানটি Samsung গ্রুপের নামে একটি ভুয়া ওয়ার্ক অর্ডার প্রস্তুত করে। পরে তাদের অফিসের সামনে ডিজিটাল ব্যানারে ‘হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর টার্মিনাল-৩ এ দক্ষ ও অদক্ষ লেবার ও সুপারভাইজার নিয়োগ দেওয়া হবে’ এমন বিজ্ঞাপন ঝুলিয়ে রাখে। চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দেখে চাকরিপ্রত্যাশী ভুক্তভোগী অনেকেই তাদের সঙ্গে যোগাযোগ শুরু করেন। সিআইডির এই কর্মকর্তা বলেন, লেবার হিসেবে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা এবং সুপারভাইজার পদে এক লাখ টাকায় চুক্তি করে প্রতারকরা। শ্রমিক ও সুপারভাইজার পদে চাকরি পাওয়ার জন্য ১০০ থেকে ১৫০ চাকরিপ্রত্যাশী দর্পণ গ্রুপ অব কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং এমডির কাছে টাকা দিলে তাদের ভুয়া নিয়োগপত্র দেওয়া হয়। তবে নিয়োগপত্রে যোগদানের নির্দিষ্ট তারিখে কোনো শ্রমিক ও সুপারভাইজারকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নির্মাণাধীন টার্মিনাল-৩ এ যোগদান করায়নি প্রতারকরা।

সিআইডির এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ভুক্তভোগীরা দর্পণ গ্রুপ কোম্পানির অফিসে গিয়ে চাকরিতে যোগদানের বিষয়ে জানতে চাইলে তারা অপেক্ষা করার কথা বলে ঘোরাতে থাকে।

আরো সংবাদ