স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

ভারতের সঙ্গে মৈত্রীবন্ধন দেশের উন্নয়নে সহায়ক: তথ্যমন্ত্রী

তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের সঙ্গে মৈত্রীবন্ধন দেশের উন্নয়নে অত্যন্ত সহায়ক।

রোববার (২৪ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর সিরডাপ মিলনায়তনে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর ১২৫তম জন্মদিন উপলক্ষে নেতাজির জন্মবার্ষিকী উদযাপন ও দেশপ্রেম দিবস উদযাপন পরিষদ আয়োজিত ‘নবজাগরণে নেতাজির আদর্শ’ সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।

নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে কিছু রাজনৈতিক শক্তি আছে যাদের রাজনৈতিক মূল এজেন্ডা ভারতবিরোধিতা করা। প্রতিবেশী তিন দিকের সীমান্তের দেশের সঙ্গে বৈরী সম্পর্ক রেখে এ দেশের উন্নতি সম্ভব নয়। ভারত বিরোধিতাকেই যারা মূল প্রতিপাদ্য ভেবে রাজনীতিটা করে তারা আসলে ভুল পথে হাঁটছে। সৌহার্দ্যের মধ্যেই অগ্রগতি নিহিত।

আজ বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আমাদের অর্জিত উন্নয়ন-অগ্রগতিতে ভারতের সহযোগিতা অত্যন্ত সহায়ক হিসেবে কাজ করছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা উভয় দেশ যে মৈত্রীবন্ধনে এগিয়ে যাচ্ছি, তাকে আরও সুদৃঢ় করে আমাদের আঞ্চলিক ও মানুষে মানুষে যোগাযোগ আরও বিস্তৃত করার মধ্য দিয়েই এ অঞ্চলের উন্নতি সম্ভব এবং আমরা সে লক্ষ্যেই কাজ করছি।

বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) পরিচালনা বোর্ডের চেয়ারম্যান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিকীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী, বাংলাদেশ প্রেস ইনস্টিটিউটের চেয়ারম্যান আবেদ খান, বঙ্গবন্ধু গবেষণা পরিষদের সভাপতি উত্তম বড়ুয়া, আয়োজক সংগঠনের সদস্য সচিব আশরাফুল ইসলাম সেমিনারে বক্তব্য রাখেন।

নেতাজির স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের পাশাপাশি তথ্যমন্ত্রী ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজির আহবানে আজাদ হিন্দ ফৌজের যে ২৬ হাজার সেনা জীবন দিয়েছিলেন, তাদের স্মৃতির প্রতিও গভীর শ্রদ্ধা জানান।

তিনি বলেন, উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর অবদান ইতিহাসে সবসময় স্বর্ণাক্ষরে লিপিবদ্ধ থাকবে। আমাদের জন্য এটি গৌরবের যে নেতাজি বাঙালি ছিলেন এবং অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু লিখেছেন, শৈশবেই তিনি নেতাজী সুভাষ চন্দ্র বসুর নেতৃত্বের প্রতি আকৃষ্ট হয়েছিলেন, তার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বে বাংলাদেশ-ভারত মৈত্রী আজ নতুন উচ্চতায় উন্নীত হয়েছে উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ভারতের ২০ লাখ টিকা উপহার ভালোবাসা এবং বন্ধুত্বের অনন্য উদাহরণ। ভারতের সব মানুষ এখনও টিকা পায়নি, তার আগেই আমাদের দেশে এটি এসেছে, এজন্য ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানাই। সেই সঙ্গে মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে ভারতের কয়েক হাজার সৈন্য জীবন দিয়েছে, এদেশের এক কোটি মানুষ ভারতে আশ্রয় নিয়েছে এবং এরও আগে পাকিস্তানের কারাগারে বঙ্গবন্ধুকে যেন ফাঁসি দেয়া না হয়, সেজন্য ইন্দিরা গান্ধী ৩০টি দেশ সফর করে বিশ্ব জনমত গঠন করেছিলেন, সে কথাও গভীর কৃতজ্ঞতা ও আন্তরিকতায় স্মরণ করি।

ভারতের হাইকমিশনার বিক্রম কুমার দোরাইস্বামী বাংলাদেশে নেতাজির জন্মবার্ষিকী উদযাপনকে অন্তর ছুঁয়ে যাওয়া ঘটনা বলে অভিহিত করেন এবং দুই দেশের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ঘনিষ্ঠতর হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।

আরো সংবাদ