স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে ফেরত নিতে রাজি মিয়ানমার

প্রথম ধাপে কিছু সংখ্যক রোহিঙ্গাকে দেশে ফেরাতে রাজি হয়েছে মিয়ানমার। এ বিষয়ে ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহে আবারো বৈঠকে বসবে দুই দেশ বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. আব্দুল মোমেন।

রবিবার সকালে, রাজধানীর মিরপুরে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা জানান তিনি।

প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে যাচাই-বাছাইয়ের জন্য মিয়ানমারকে এ পর্যন্ত ৮ লাখ ৪০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা পাঠিয়েছে বাংলাদেশ। সম্প্রতি পাঠানো হয়েছে ২ লাখ ৩০ হাজার রোহিঙ্গার তালিকা। কিন্তু মিয়ানমার এ পর্যন্ত মাত্র ৪২ হাজার রোহিঙ্গার পরিচয় যাচাই-বাছাই করেছে।

২০১৯ সালে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে দু’দফা উদ্যোগ নেয়া হলেও নিরাপত্তার অজুহাতে নিজ দেশে ফিরতে রাজি হয়নি রোহিঙ্গারা।

গত ১৯ জানুয়ারি রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে চীনের নেতৃত্বে ত্রিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। ত্রিপক্ষীয় বৈঠক শেষে আগামী এপ্রিলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন প্রক্রিয়া শুরু হতে পারে বলে জানিয়েছিলেন পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন জানান। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন চীনের ভাইস ফরেন মিনিস্টার লুও ঝাওহুয়ি। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন এবং মিয়ানমারের আন্তর্জাতিক সহায়তা বিষয়ক ডেপুটি মিনিস্টার হাও দো সুয়ান অংশ নিয়েছিলেন।

প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমার সেনাবাহিনীর নির্যাতন ও নিপীড়নের মুখে বাংলাদেশ পালিয়ে আসে প্রায় ৭ লক্ষাধিক রোহিঙ্গা। এছাড়া আরো আগে থেকে বাংলাদেশের আশ্রয়ে ছিলো ৪ লাখের বেশি রোহিঙ্গা। বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের নিজ দেশে ফিরিয়ে নিতে মিয়ানমার সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তি করলেও কোন ধরনের সমাধানে আসতে পারেনি দুই দেশ।

আরো সংবাদ