স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

চট্টগ্রাম টেস্ট : প্রথম সেশনে টাইগারদের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৯

খেলতে গেলে উইকেট যাবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু কিছু উইকেট বিসর্জন দুঃখ বাড়ায়। চট্টগ্রাম টেস্টের লাঞ্চ অবধি বাংলাদেশের দুটি উইকেট হারানো অনেকটা তেমনই। বুধবার প্রথম টেস্টের প্রথম সেশন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২ উইকেটে ৬৯ রান, ওভার ২৯।

তামিম ফিরেছেন বোল্ড হয়ে। রান আউটের শিকার নাজমুল হোসেন শান্ত। তামিমের মতো অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানের কাছে এমন বোল্ড হতাশা জাগিয়েছে। অন্যদিকে টেস্ট ম্যাচে যেখানে ধীর স্থিরই মুখ্য। সেখানে শান্তর রান আউট ভক্তদের আক্ষেপ বাড়িয়েছে। যদিও এক্ষেত্রে সাদমানকেই দায়ী করা যায়। কারণ দ্বিতীয় রান নেয়ার ব্যাপারে মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না শান্ত।

টস জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের শুরুটা ভালোই ছিল। উদ্বোধনী জুটিতে ইনিংসের গোড়াপত্তন করেন তামিম ও সাদমান। টেস্ট মেজাজেই আগাতে থাকেন দুজন। তামিমেরর চেয়ে স্ট্রাইকে বেশি ছিলেন সাদমান। অল্প বল খেললেও দুটি চার মেরে নিজের জাত চেনাচ্ছিলেন তামিম।

তবে পঞ্চম ওভারেই অঘটন। কেমার রোচের লেন্থ বলটি ফরোয়ার্ড শট খেলতে চেয়েছিলেন তামিম। তবে পা ফরোয়ার্ডে ছিল না। বল ব্যাট ফাকি দিয়ে প্যাড ঘেষে আঘাত হানে স্টাম্পে। ১৫ বলে ৯ রানে ফেরেন তামিম।

দ্বিতীয় উইকেটে সাদমান ও নাজমুল হোসেন শান্তও ভালোই খেলছিলেন। চাইলেও প্রথম সেশনটা দুজন পার করে দিতে পারতেন। কিন্তু ভুল বুঝাবুঝির এক রান আউটে ভাঙে এই জুটি। ২৩.১ ওভারের ঘটনা। মায়ার্সের বলে ফাইন লেগে বল ঠেলে রানের জন্য ছোটেন সাদমান। এক রানই ছিল ঠিক। সাদমান দ্বিতীয় রানের জন্য ছুটলেই বিপদ। যদিও সাদমান পৌঁছে গিয়েছিলেন কাছাকাছি। কিন্তু শান্ত ছিলেন না প্রস্তুত। যখন তিনি দৌড় শুরু করলেন ততক্ষণে কেমার রোচের থ্রো পৌঁছে গেছে সিলভার হাতে। খুব সহজেই স্টাম্প ভাঙেন তিনি।

৫৮ বলে তিন চারে ২৫ রান করে ফেরেন শান্ত। লাঞ্চ বিরতির আগ পযন্ত ক্রিজে ৩৩ রানে অপরাজিত আছেন ওপেনার সাদমান। অধিনায়ক মুমিনুল হক ১৯ বলে আছেন ২ রানে অপরাজিত।

দলে পেসারদের ছড়াছড়ি থাকলেও এই টেস্টে বাংলাদেশ খেলছে চারজন স্পিনার নিয়ে। পেসার একজন, শুধু মোস্তাফিজ। বাংলাদেশ দলে অভিষিক্ত কেউ নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলে অভিষিক্ত ক্রিকেটার তিনজন, শেন মোজলি, এনক্রুমা বনার ও কাইল মেয়ার্স।

এই ম্যাচ দিয়ে ম্যাচ অফিসিয়ালদের ক্ষেত্রেও বাংলাদেশের ক্রিকেটে সূচনা হলো নতুন অধ্যায়ের। দেশের প্রথম টেস্ট ম্যাচ রেফারি হিসেবে যাত্রা শুরু করলেন নিয়ামুর রশিদ। পাশাপাশি টেস্ট আম্পায়ারিংয়ে অভিষেক হলো শরফুদ্দৌলা ইবনে শহীদের। বাংলাদেশের পঞ্চম টেস্ট আম্পায়ার তিনি।

বাংলাদেশ একাদশ : তামিম ইকবাল, সাদমান ইসলাম, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক (অধিনায়ক), মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, লিটন কুমার দাস, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাঈম হাসান, তাইজুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান।

আরো সংবাদ