স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

‘শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেস রেকর্ডের পথে

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের জন্য নির্দেশিত পথে হাঁটছে ‘শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’র কার্যক্রম।

বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সেখানে সকল শষ্য রোপন কার্যক্রম শেষ হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর মুখচ্ছবি সেখানে ফুটে উঠবে। একুশে ফেব্রুয়ারির মধ্যেই গিনেস কর্তৃপক্ষকে প্রয়োজনীয় সকল ডকুমেন্ট পাঠানো হবে।

শুক্রবার (৫ ফেব্রুয়ারি) এসব তথ্য জানানো হয়েছে শষ্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু নিয়ে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায়। রাজধানীর কৃষিবিদ ইনস্টিটিউটে আয়োজিত সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন এ কার্যক্রমের আহ্বায়ক ও প্রধান সমন্বয়ক আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ হ ম বাহাউদ্দিন নাছিম।

সভায় তিনি বলেন, ‘আমরা এ কার্যক্রম অনেক আগে শুরু করেছি। বিদেশ থেকে বীজ এনেছি। গিনেস কর্তৃপক্ষ নির্দেশিত পথে আমরা চলছি। পূর্বের সকল রেকর্ড সম্পর্কে আমাদের কাছে তথ্য রয়েছে। আমাদের আয়োজন বিশ্বের সর্ববৃহৎ এবং কোনো নেতার প্রথম এতো বড় মুখচ্ছবি। বিশ্ববাসীর কাছে আমরা বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে এ আয়োজন স্মরনীয় করে রাখতে চাই। আমরা মুজিববর্ষে সব সেরা প্রোগ্রাম করতে চাই।’

ধানের চারায় বঙ্গবন্ধুর চিত্র ফুটিয়ে তোলার কাজ চলছে বগুড়ার শিবগঞ্জের শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামে। যা ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্যচিত্র’ হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিতে পারবে বলে আশা করছেন আয়োজকরা। মুজিবশতবর্ষ উপলক্ষে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’ দুই মাস আগে ১০৫ বিঘা জমিতে এই কাজের প্রস্তুতি শুরু করে। এর আয়তন ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট।

লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইক (ইমেজ) শাখার নতুন রেকর্ড হবে এটি। বর্তমানে রেকর্ডটি চীনের দখলে। ১৯১৯ সালে ৭৯ হাজার ৫০৫.১৯ বর্গমিটার আয়তনের জমিতে চার রঙের ধানের চারায় কাউ ফিশের ছবি ফুটিয়ে তুলে সাংহাইয়ের লেজিদাও টুরিজম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিডেট ওই রেকর্ড গড়েছিল।

গিনেস বুক কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখার কথা জানিয়ে আ.লীগের এই নেতা বলেন, ‘আগামী ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’র ভিডিওসহ প্রয়োজনীয় দলিলপত্র পাঠানো হবে। আশা করছি ১৭ মার্চ বঙ্গবন্ধু শেখ মজিবুর রহমানের জন্মদিনে আমরা নতুন এ বিশ্বরেকর্ড অর্জন এবং উদযাপন করতে পারব।’

ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার জানিয়েছে, বিএনসিসির ১০০ জন সদস্য এবং ৫০ জন শ্রমিক-কর্মচারী বৃহস্পতিবার চারা রোপন সম্পন্ন করেছেন। এসব কার্যক্রমে খরচ হবে প্রায় দেড় কোটি টাকা। চীন থেকে বেগুনি ধান এবং দেশীয় সবুজ জনকরাজ ধানের চারা দিয়ে বঙ্গবন্ধুর অবয়ব দৃশ্যমান করা হবে। ধান পাকার পর গোঁফ, চোখ, চুল, ভ্রু খয়েরি আর অন্য অংশ সোনালি রঙের হবে। ওপর থেকে মাঠের মধ্যে স্পষ্ট প্রতিকৃতি দেখা যাবে। আগামী দশ দিনের পর থেকেই অনেকটা দৃশ্যমান হবে মুখচ্ছবিটি।

আরো সংবাদ