স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

টিকা নিলেন অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী

অস্ট্রেলিয়ায় করোনা গণটিকাদান কর্মসূচি শুরু হওয়ার একদিন আগে স্থানীয় সময় রোববার টিকা নিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী স্কট মরিসন। সম্মুখসারির স্বাস্থ্য কর্মী ও কেয়ার হোমের বাসিন্দাদের ছোট একটি দলের সঙ্গে এ দিন টিকা নেন তিনি । অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নার্স প্রফেসর অ্যালিসন ম্যাকমিলান ও প্রধান চিকিৎসা কর্মকর্তা প্রফেসর পল ক্যালিও এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

অস্ট্রেলিয়াজুড়ে টিকাদান কর্মসূচির ওপর জনগণের আস্থা বাড়ানোর লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর টিকা নেওয়া রোববার টেলিভিশনে সম্প্রচার করা হয়।

টিকা নেওয়ার পর সেখানে উপস্থিত সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমাদের দেশের জন্য এটি খুবই ঐতিহাসিক একটি দিন। আমিও কর্মসূচিতে অংশ নিচ্ছি। আগামীকাল (সোমবার) আমাদের টিকাদান কর্মসূচি শুরু হচ্ছে।’

এদিকে অস্ট্রেলিয়ার ২২ শতাংশ মানুষ বলছেন, তারা করোনার টিকা নিতে চান না। অস্ট্রেলিয়ান ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির এক জরিপে দেখা গেছে, সাম্প্রতিক মাসগুলোয় দেশটির মানুষের মধ্যে টিকা নেওয়ার ব্যাপারে দ্বিধাদ্বন্দ্ব বাড়ছে।

শনিবার অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন, সিডনি, ব্রিসবেনসহ কয়েকটি শহরে কয়েক হাজার লোক টিকাদান কর্মসূচী বিরোধী বিক্ষোভও দেখিয়েছে।

স্কট মরিসন বলেন, ‘এই কর্মসূচির পর্দা উন্মোচনের আগে খুবই গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় উল্লেখ করা প্রয়োজন। আর তা হলো, এ টিকা নিরাপদ এবং এটি নেওয়া গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে বেশি সংক্রমণ ঝুঁকিতে থাকা ও সম্মুখসারির ব্যক্তিদের দিয়ে এ কর্মসূচি শুরু করা প্রয়োজন।’

অস্ট্রেলিয়ায় ফাইজারের করোনাভাইরাস টিকা ব্যবহারে অনুমতি দেওয়া হয়েছে। টিকাদান কর্মসূচীতে এই টিকাই ব্যবহার করা হচ্ছে।  দেশটির প্রথম টিকা গ্রহণকারী ব্যক্তি ছিলেন ৮৫ বছর বয়সী জেন মালিসিয়াক।

গত সপ্তাহের মাঝামাঝি অস্ট্রেলিয়ার ওষুধ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা অ্যাস্ট্রাজেনেকা ও অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের উৎপাদিত করোনভাইরাস টিকারও শর্তাধীন অনুমোদন দিয়েছে। দেশটিতে আগামী মাস থেকে এই টিকা সরবরাহ শুরু হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। দেশটির স্বাস্থ্যমন্ত্রী গ্রেগ হান্ট জানিয়েছেন, আসছে সপ্তাহে তিনি অ্যাস্ট্রাজেনেকার টিকা নেবেন।

উভয় টিকাই ব্যাপক নিরাপত্তা পরীক্ষার মধ্য দিয়ে গিয়েছে এবং বেশ কয়েকটি দেশে এগুলোর ব্যবহারও শুরু হয়েছে। প্রথম পর্যায়ে দেশটির স্বাস্থ্য খাত, সীমান্তে আইন প্রয়োগকারী ও কেয়ার হোমগুলোর ফ্রন্টলাইলে থাকা সাত লাখ কর্মীর সঙ্গে কেয়ার হোমগুলোতে বসবাসকারীদের টিকা দেওয়া হবে।

মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ায় এ পর্যন্ত ২৮ হাজার  ৯২০ জন কোভিড-১৯ রোগী শনাক্ত হয়েছে। এদের মধ্যে মারা গেছেন ৯০৯ জন।

সূত্র: বিবিসি

আরো সংবাদ