স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

সকাল হলেই রাঙ্গুনিয়া পৌরসভায় ভোট

কাল রোববার সকাল হলেই শুরু হবে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া পৌরসভায় ভোট গ্রহণ। নির্বাচন কমিশন (ইসি) সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত বিরতিহীনভাবে ভোট গ্রহণ করবে। ইতিমধ্যে নির্বাচন উপকরণ কেন্দ্রে কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে।

এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র দুই মেয়র প্রার্থীসহ কাউন্সিলর ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে মোট ৪৫ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

২০০০ সালের ৮ জুলাই রাঙ্গুনিয়া পৌরসভা গঠিত হয়। এটি ৯টি ওয়ার্ডে বিভক্ত ‘খ’ শ্রেণির পৌরসভা। ২১.৬৮ বর্গ কিলোমিটার আয়তনের এ পৌরসভায় ৯টি ওয়ার্ডে মোট ভোটার সংখ্যা ২৫ হাজার ৭৯১ জন। এর মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ১৩ হাজার ৫১৯ জন এবং মহিলা ভোটার ১২ হাজার ২৭১ জন। পৌরসভায় মোট ১১টি ভোট কেন্দ্রের ৭০টি বুথে ভোটগ্রহণ করা হবে।

গত বছর করোনা আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান চৌধুরী রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার প্রথম পৌর প্রশাসক ছিলেন। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার আমলে ২০০১ সালে পৌরসভা নির্বাচনে নুরুল আমিন তালুকদার মেয়র নির্বাচিত হন।

২০১১ সালের ১৮ জানুয়ারি রাঙ্গুনিয়া পৌরসভার নির্বাচনে আওয়ামী লীগের খলিলুর রহমান চৌধুরী মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন। সর্বশেষ ২০১৫ সালের ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মো. শাহজাহান সিকদার মেয়র নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এবার মেয়র পদে দলীয় প্রতীকের এ ভোটে বরাবরের মতই মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হচ্ছে নৌকা ও ধানের শীষের প্রার্থীর মধ্যে।

বিএনপি মনোনীত মেয়র প্রার্থী হেলাল উদ্দিন শাহ বলেন, মানুষের ভোটের অধিকার এখন নেই। সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন হলে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত।

আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী মো. শাহজাহান সিকদার বলেন, আমি বিশ্বাস করি, উন্নয়নের ধারাকে অব্যাহত রাখতে সবাই আমাকে ভোট দেবেন। পুনরায় নির্বাচিত হলে জননেতা তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের উন্নয়নের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে কাজ করবো।

নির্বাচনের প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মাসুদুর রহমান বলেন, নির্বাচনের প্রস্তুতি ভালোভাবে সম্পন্ন হয়েছে। ভোটকে কেন্দ্র করে সর্বোচ্চ সতর্কতা গ্রহণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনে ১০ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও একজন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগ করা আছে এবং পর্যাপ্ত সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিয়োগ করা হয়েছে।

পুলিশের পাশাপাশি ২ প্লাটুন বিজিবি, র‍্যাব ও আনসার সদস্যরাও ভোটে দায়িত্বপালন করবেন বলে জানান রিটার্নিং কর্মকর্তা।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশ সুপার এস এম রশিদুল হক বলেন, ভোট কেন্দ্রে পর্যাপ্ত সংখ্যক পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এর বাইরে মোবাইল টিম থাকছে। স্ট্রাইকিং ফোর্স হিসেবে র‍্যাব ও বিজিবি সদস্যরা থাকবেন। নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটও কাজ করবেন।

সুন্দর পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন পুলিশ সুপার।

আরো সংবাদ