স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

সাধারণ ছুটির সিদ্ধান্ত হয়নি : স্বাস্থ্যমন্ত্রী

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও সাধারণ ছুটি বা লকডাউনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। বুধবার (২৪ মার্চ) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।

করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে, এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ ছুটি বা লকডাউনের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত আছে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, এ বিষয়ে এখনও কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।

এটা নিয়ে সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত হয় জানিয়ে তিনি বলেন, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কোনো অর্ডার পাস করে না। সর্বোচ্চ পর্যায় থেকে এমন কোনো সিদ্ধান্ত হলে জানিয়ে দেওয়া হবে।

মন্ত্রী বলেন, স্বাস্থ্যবিধি ও সেবায় বেশি নজর দিচ্ছি। যেসব জায়গায় করোনা বাড়ছে সেগুলো আমরা তুলে ধরেছি। ওই সব জায়গা নিয়ন্ত্রণ করতে পারলে সংক্রমণ বাড়বে না। তাই করােনার উৎপত্তিস্থল বন্ধ করতে হবে।

তিনি বলেন, পর্যটনকেন্দ্রগুলো থেকে করোনার সংক্রমণ বেশি হচ্ছে, তাই সেগুলো সীমিত করতে হবে।

সামাজিক অনুষ্ঠানে লোকজন সীমিত করতে হবে।

করোনা মোকাবিলায় পিকনিক, বিয়ে, ওয়াজে লোকজন সীমিত করতে হবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।

মন্ত্রী বলেন, করোনা বাড়ছে। গতকালও সাড়ে তিন হাজার মানুষ করোনায় সংক্রমিত হয়েছেন। কেন করোনা বাড়ছে সেটি খেয়াল করতে হবে। করোনা বাড়ার উৎপত্তিস্থল চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নিতে হবে। হাসপাতালে করোনা আক্রান্তদের সঙ্গে আমরা কথা বলেছি। কীভাবে আক্রান্ত হয়েছে সেটি জানার চেষ্টা করেছি। তারা বলছে কেউ কক্সবাজার, কেউ কুয়াকাটা, কেউ বান্দরবান বা পিকনিকে গিয়েছিলেন। তাই সেই জায়গায়গুলো সীমিত করতে হবে। বিয়ে-ওয়াজে জনসংখ্যা সীমিত করতে হবে। আমরা এসব নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ে চিঠি দিয়েছি।

জেলা প্রশাসকদের কাছেও এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়েছে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, তারা মোবাইল কোর্ট বসাবে, প্রয়োজনে মানুষকে জরিমানাও করবে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, ঢাকা মেডিকেলে করোনা রোগীতে ভরে গেছে, ঢাকার বাইরে অনেকটা ফাঁকা। কিছু নন-কোভিড হাসপাতাল করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের আওতায় নিয়ে এসেছি। লালকুঠি হাসপাতাল, মহানগর হাসপাতাল, সরকারি কর্মচারী হাসপাতালসহ কুর্মিটোলা হাসপাতালে বেড বাড়ানোর জন্য বলেছি। টঙ্গী, গাজীপুর, টাঙ্গাইলেও ব্যবস্থা নিয়েছি। এগুলো করতে পারলে ৩ হাজার নতুন বেড সৃষ্টি করতে পারব। এর মধ্যে ১৭শ থেকে ১৮শ নন-কোভিড বেড ছিল। সেসব বেড থেকে রোগী সরিয়ে নিতে হয়েছে। সেখানে করোনা রোগী ভর্তি করতে হয়েছে। আমাদের করোনা রোগী কমাতে হবে।

যে হারে সংক্রমিত হচ্ছে, এভাবে হলে অতিরিক্ত ব্যবস্থাও কুলাবে না বলেও সতর্ক করেন মন্ত্রী। তিনি বলেন, দেশ ও অর্থনীতি ঠিক রাখতে হলে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে, ঘোরাঘুরি কমাতে হবে। করোনার টিকার কার্যক্রমও চলমান আছে। টিকা নিয়ে মানুষের বিভ্রান্ত ছিল, তারা ভাবতো টিকা নিলে করোনা প্রতিরোধ কবে। কিন্তু তা নয়, টিকা নিলে করোনা থেকে রক্ষা নাও হতে পারে। কিন্তু এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়বে, মৃত্যু ঝুঁকি কমাবে। তাছাড়া দ্বিতীয় ডোজ আমরা এখনও দেইনি।

আরো সংবাদ