স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

হাটহাজারীতে হেফাজত-পুলিশ সংঘর্ষ: নিহত ৪

চট্টগ্রামের হাটহাজারীতে পুলিশ ও হেফাজতে ইসলামের কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষে চার জনের মৃত্যু হয়েছে। এদের মধ্যে তিন জন মাদ্রাসা ছাত্র এবং একজন স্থানীয় দোকানি বলে জানিয়েছে পুলিশ।

আজ শুক্রবার (২৬ মার্চ) দুপুরে সংঘর্ষে আহত অবস্থায় চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে আনা হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চার জনকে মৃত ঘোষণা করেন।

চমেক হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়িতে দায়িত্বরত সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আলাউদ্দিন তালুকদার বলেন, আহত অবস্থায় আট জনকে আনা হয়েছিল। চার জনের মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে তিন জন মাদরাসা ছাত্র। বয়স ২২ থেকে ২৩ বছর। আরেকজন পেশায় দর্জি। মাদরাসার পাশে তার দোকান আছে বলে জানতে পেরেছি। তবে তিনিও আন্দোলনকারীদের একজন বলে উনাকে যারা হাসপাতালে এনেছেন তারা জানিয়েছেন।

আহত আরও চার জন হাসপাতালের ২৬ নম্বর ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন আছেন। তাদের অবস্থা আশঙ্কামুক্ত বলে এএসআই আলাউদ্দিন তালুকদার জানিয়েছেন।

এর আগে, শুক্রবার দুপুরে হাটহাজারী উপজেলায় দারুল উলুম মঈনুল ইসলাম মাদরাসার একদল ছাত্র মিছিল বের করে। তারা হেফাজতের কর্মী হিসেবে পরিচিত।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুপুর সোয়া ২টার দিকে হাটহাজারী মাদরাসা থেকে মিছিল নিয়ে হাজারখানেক ছাত্র আনুমানিক ৫০০ মিটার দূরে থানার সামনে যায়। তারা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশ সরকারের বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছিল।

ছাত্ররা থানার সামনে গিয়ে হঠাৎ ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে শুরু করে। থানার সামনে লাগানো স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিববর্ষের ব্যানার ছিঁড়ে ফেলে। ছাত্রদের ছোঁড়া ইট-পাথরের টুকরায় থানার সামনের কাঁচের দরজা ভেঙে যায়। বিভিন্ন আসবাবপত্র ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

এরপর তারা উপজেলা ভূমি অফিস ও ডাকবাংলোতে ঢুকে তাণ্ডব শুরু করে। ভূমি অফিসের গাড়ি ও আসবাবপত্রে আগুন দেয়।

পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নিতে পুলিশ প্রথমে কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে। এরপর পুলিশ ও হেফাজত কর্মীদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পুলিশ আরও কয়েক রাউন্ড হুলি ছোঁড়ার পর ছাত্ররা পিছু হটে। তারা মাদরাসার মূল ফটকে অবস্থান নিয়ে সড়ক অবরোধ করে রাখে।

হেফাজতে ইসলামের সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী দাবি করেছেন, ঢাকায় বায়তুল মোকাররমে হেফাজতের নেতাকর্মীদের ওপর হামলার প্রতিবাদে বের করা মিছিলে পুলিশ বিনা উসকানিতে গুলি করেছে।

অন্যদিকে মাদরাসার মহাপরিচালক হেফাজতে ইসলামের আমীর জুনাইদ বাবুনগরীর ব্যক্তিগত সহকারি ইনাম উর রহমান জানান, শুক্রবার হেফাজতে ইসলামের পূর্বনিধারিত কোনো কর্মসূচি ছিল না।

আরো সংবাদ