স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

বিদেশগামী কর্মীদের স্বার্থে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু রাখার আহ্বান

করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারের দেওয়া বিধিনিষেধ চলাকালে বিদেশগামী কর্মীদের ফ্লাইট চালু রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হস্তক্ষেপ কামনা করেছে জনশক্তি রপ্তানিকারকদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সি (বায়রা)।

মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) নজরুল হামিদ মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটি এই আহ্বান জানায়।

লিখিত বক্তব্যে বায়রার পক্ষ থেকে বলা হয়, লকডাউন চলাকালীন সময়ে বিদেশগামী কর্মীদের কথা বিবেচনায় এনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ না করে জনশক্তি প্রেরণ খাতকে জরুরি সেবা খাত হিসেবে বিবেচনা করা হোক। বর্তমানে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার কর্মী কর্মস্থলে ফিরে যেতে অধিক মূল্যে টিকিট কিনেছেন।

হাজার হাজার কর্মী টিকিটের অপেক্ষায় আছেন। হঠাৎ ফ্লাইট বন্ধ হওয়ায় তাদের বিদেশ গমন অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এতে কর্মীসহ সংশ্লিষ্ট সবার মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।

লকডাউনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট বন্ধ রাখা হলে বিদেশগামী কর্মীরা যেসব সমস্যার সম্মুখীন হতে পারে সেগুলো সংবাদ সম্মেলনে তুলে ধরে সংগঠনটি। লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, পূর্ব নোটিশ ছাড়াই ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়ায় ক্ষতির মুখে পড়েছে বিদেশগামী কর্মীরা। তাছাড়া কাতার এবং ওমানে যাত্রীরা টাকা খরচ করে কোয়ারেন্টাইন হোটেল বুকিং দিয়ে রেখেছে, যেগুলো ফেরতযোগ্য না। এখন না যেতে পারলে তাদের লোকসান গুনতে হবে।

লকডাউনের সাতদিনে প্রায় ২০ হাজার কর্মী বেশি দামে টিকিট কেটে কাতার, ওমানসহ মধ্যপ্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে কোয়ারেন্টাইন হোটেল বুকিং করেছে। এই অবস্থায় দেশে এবং বিদেশে কর্মক্ষেত্রে এসব প্রবাসীরা ক্ষতির সম্মুখীন হবে বলে জানায় জনশক্তি রফতানিকারক সংগঠনটি।

সংবাদ সম্মেলনে আরও জানানো হয়, কর্মী গ্রহণকারী দেশগুলো কর্মী গ্রহণে কোনো বিধিনিষেধ দেয়নি। তাই বিশেষ ফ্লাইটে কর্মীদের বিদেশে পাঠানোর ব্যবস্থা করা হোক। লকডাউনে কলকারখানা খোলা থাকতে পারলে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট চালু রাখা সম্ভব বলেও জানায় বায়রা।

বুধবার থেকে সাতদিনের বিধিনিষেধ ঘোষণা করেছে সরকার। এর আওতায় অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটের পাশাপাশি বন্ধ থাকবে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটও। রোববার (১১ এপ্রিল) আন্তঃমন্ত্রণালয়ের বৈঠকে বিষয়টি জানায় বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।

আরো সংবাদ