স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

দেশে রাশিয়ার ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন

নভেল করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) সংক্রমণ প্রতিরোধে দেশে রাশিয়ার উদ্ভাবিত স্পুটনিক-ভি ভ্যাকসিন জরুরি ব্যবহারে অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতর। সরকারিভাবেই এই ভ্যাকসিন আমদানি করা ছাড়াও দেশেই এর উৎপাদনের সম্ভাব্যতা নিয়ে আলাপ চলছে বলেও জানিয়েছে অধিদফতর।

মঙ্গলবার (২৭ এপ্রিল) ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, ভ্যাকসিন বিষয়ে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের যে টেকনিক্যাল কমিটি আছে, তাদের পরামর্শ মেনে কাজ করা হয়েছে। এ নিয়ে একটি বৈঠক হয়েছে। সেখানে এই ভ্যাকসিন জরুরি প্রয়োগের অনুমোদনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কারিগরি কমিটির সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের ব্রিফও করেন ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান।

ব্রিফিংয়ে মাহবুবুর রহমান বলেন, জরুরি ব্যবহারের জন্য রাশিয়ার এই ভ্যাকসিন ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এই ভ্যাকসিনটি ইভ্যালুয়েশন করেছে আমাদের টেকনিক্যাল কমিটি। তারা জানিয়েছে, এটি ৯১ শতাংশ কার্যকর। সবদিন বিবেচনা করেই এটি জরুরি প্রয়োগের অনুমোদন দিয়েছি।

এই ভ্যাকসিন দেশে নিয়ে আসা প্রসঙ্গে ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক বলেন, সরকারিভাবে (জি-টু-জি) এই ভ্যাকসিন আমদানির বিষয়ে আলাপ-আলোচনা হবে। এরপর সেটি আমদানি করা হবে। সরকার আলোচনা করে দাম নির্ধারণ করবে।

মেজর জেনারেল মাহবুবুর রহমান আরও বলেন, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের মতো এই ভ্যাকসিনটিরও দুই ডোজ নিতে হবে প্রত্যেককে। তবে এ ক্ষেত্রে প্রথম ডোজের ২১ দিন পরে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। ২ থেকে ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এই ভ্যাকসিন সংরক্ষণ করা যায় বলে এর সংরক্ষণ নিয়ে চিন্তা করতে হবে না।

দেশে রাশিয়ার এই ভ্যাকসিন উৎপাদনের সম্ভাব্যতা নিয়েও কথা বলছে বলে জানান ঔষধ প্রশাসন অধিদফতরের মহাপরিচালক। তিনি বলেন, গত ১২ এপ্রিল এই ভ্যাকসিন ভারতে ব্যবহারের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আমরাও এখন দিচ্ছি। আর কেবল ভ্যাকসিন আমদানি নয়, দেশেই উৎপাদনের বিষয়েও কথা চলছে। আমাদের দেশে ইনসেপটা, পপুলার ও হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালস ভ্যাকসিন উৎপাদন করে থাকে। ইনসেপটা রাশিয়ার সঙ্গে কথাও বলছে। আশা করা যায়, দেশেই হয়তো এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করা সম্ভব হবে।

আরো সংবাদ