স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

রোজাদারকে তাওবা করে কবীরা গুনাহ থেকে মাফ চাইতে হবে

তাওবা  অর্থ ফিরে আসা। ইসলামের পরিভাষায় তাওবা হচ্ছে বান্দার কৃত অপরাধের কথা স্মরণ করে আল্লাহর কাছে ইসতিগফার কামনা করে সত্য-সঠিক পথে ফিরে আসা। গুনাহ মাফ করতে পারা রমজানুল মোবারকের বড় সাফল্য। কবীরা গুনাহ তথা বড় বড় গুনাহ থেকে মাফ পেতে হলে অবশ্যই তাওবা করতে হবে। হাদিস শরীফে উল্লেখ রয়েছে, শিরক তথা আল্লাহ পাকের সাথে যে কোন কিছুকে যে কোনভাবে অংশীদার মনে করা, ধর্ষণ-ব্যভিচার, হত্যা-অপহরণ,সুদ-ঘুষ-দুর্নীতি, চুরি-ডাকাতি, রাহাজানি, মিথ্যা বলা, মিথ্যা সাক্ষ্য দেয়া, যাদু-টোনা, মদ-জুয়া, সতী-সাধ্বী নারীর চরিত্রে অপবাদ লেপন প্রভৃতি কবীরা গুনাহ। এ গুনাহ তাওবা ছাড়া মাফ হবে না।

হাদিসে  কুদসীতে এসেছে, “তোমাদের কেউ কোন নির্জন ভূমিতে তার হারানো ঘোড়া খুঁজে পেলে যতোটা খুশি হয়, বান্দা তাওবা করলে আল্লাহ পাক তার চাইতে অনেক বেশি হন।”

তাওবা করার নিয়ম হচ্ছে, পাক-পবিত্রতা হাছিল করে বান্দাকে একাগ্রচিত্তে আল্লাহর শাহী দরবারে  নিজের কৃত অপরাধ উপলদ্ধি ও স্বীকার করতে হবে। অপরাধের জন্য লজ্জিত ও অনুতপ্ত হয়ে জাহান্নামের শাস্তির ভয়ে অশ্রুপাত করতে হবে। তাওবার জন্য কিছু কাফ্ফারা-নফল নামাজ, নফল রোজা ও দান-সাদকা করতে পারলে ভাল হয়।  মাহে রমজানের বাকি দিনগুলোতে আমরা যদি ইখলাছের সাথে তাওবা করি, তাহলে আশা করা যায়, আল্লাহ আমাদের পাপ ক্ষমা করে দেবেন। রাসুল (স.) বলেন, “গুনাহ থেকে খালিছ দীলে তাওবাকারী যেন নিষ্পাপ ব্যক্তির মত” (ইবনু মাজাহ)।

এ কথা আমাদের অবশ্যই মনে রাখতে হবে যে বান্দাহর হক যতক্ষণ পর্যন্ত বান্দা মাফ করে দেবেন না ততক্ষণ পর্যন্ত আল্লাহ পাকও তা মাফ করবেন না। তাই যার হক নষ্ট করা হয়েছে তার সাথে যত সম্ভব দ্রুত মামলা খতম করে নিতে হবে। হে আল্লাহ পরওয়ারদেগার! তুমি আমাদেরকে যাবতীয় কবীরা গুনাহ থেকে খালিছ নিয়তে তাওবা করে পাপমুক্ত হওয়ার তৌফিক দান করুন এবং হেদায়তের পথে অবিচল রাখুন।

আরো সংবাদ