স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

দক্ষিণ চট্টগ্রামের ৬০ গ্রামে ঈদ বৃহস্পতিবার

দক্ষিণ চট্টগ্রামের প্রায় ৬০ গ্রামের অর্ধলক্ষাধিক মানুষ একদিন আগেই বৃহস্পতিবার (১৩ মে) পবিত্র ঈদুল ঈদুল ফিতর উদযাপন করবেন। তবে এবার মসজিদের বাইরে কোনো জামাত অনুষ্ঠিত হবে না। মসজিদের ভেতরেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে সীমিত পরিসরে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করা হবে।

চন্দনাইশ উপজেলার জাঁহাগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফ ও সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারীরা আরব দেশের সঙ্গে মিল রেখে একদিন আগে রোজা শুরু করেন এবং একদিন আগে ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করেন।

জানা গেছে, এসব দরবার শরীফের অনুসারীরা দীর্ঘ ২০০ বছর ধরে সৌদি আরবের সঙ্গে মিল রেখে এভাবে রোজা, ঈদুল ফিতর, ঈদুল আজহার নামাজ পালন করে আসছেন।

চন্দনাইশ উপজেলার জাঁহাগিরিয়া শাহছুফি মমতাজিয়া দরবার শরীফের বর্তমান সাজ্জাদানশীন পীরে তরিকত হযরতুল আল্লামা শাহছুফি সৈয়দ মোহাম্মদ আলী (ম.জি.আ.) এর প্রদর্শিত পথে চন্দনাইশ উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম দরবার শরীফের পশ্চিম পাড়া, দক্ষিণ পাড়া, পূর্ব পাড়া, শাহছুফি বাড়ি, আব্বাস পাড়া, মাঝেরপাড়া, দিঘির পাড়া, মোস্তান আলী শাহ পাড়া, শাইড়া পাড়া, আজম বাড়ি পাড়া, মাইজপাড়া, দরপবাড়ি, কেন্দুয়া পাড়া, বাতুয়া পাড়া, রেলস্টেশন, হাশিমপুর, হারলা, বরমা, বরকল, মৌলভীবাজার, চন্দনাইশ পৌরসভা, ধোপাছড়ি, সাতকানিয়া উপজেলার মির্জাখীল, সোনাকানিয়া, গারাঙ্গিয়া, চরতি, মনেয়াবাদ, বাজালিয়া, কাঞ্চনা, আমিলাইশ, খাগরিয়া ও গাটিয়াডাঙ্গা, লোহাগাড়া উপজেলার কলাউজান, বড়হাতিয়া, পুটিবিলা, চুনতি ও চরম্বা, বাঁশখালী উপজেলার কালিপুর, জালিয়াপাড়া, ছনুয়া, মক্ষিরচর, চাম্বল, শেখেরখীল, ডোংরা, আনোয়ারা উপজেলার তৈলারদ্বীপ, বরুমচড়া, পটিয়া উপজেলার হাইদগাঁও, মোহাম্মদনগর, মোল্লাপাড়া, বাহুলী, কচুয়াই, খরনা, শোভনদন্ডী ও ভেল্লাপাড়াসহ শতাধিক গ্রামের লক্ষাধিক অনুসারী ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবেন।

এছাড়াও বোয়ালখালী, হাটহাজারী, সন্দ্বীপ, ফটিকছড়ি, আলীকদম, নাইক্ষংছড়ি, কক্সবাজার, টেকনাফ, মহেশখালী, কুতুবদিয়া, হাতিয়া, নোয়াখালী, চাদঁপুর, ঢাকা, মুন্সিগঞ্জ, নরসিংদি, কিশোরগঞ্জ, সিরাজগঞ্জসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা ও ভারত, পাকিস্তান, মিয়ানমারসহ বিশ্বের বিভিন্ন স্থানে যেখানে মির্জাখীল দরবার শরীফের অনুসারী রয়েছেন তারাও ঈদুল ফিতরের নামাজ আদায় করবে।

আরো সংবাদ