স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

চন্দনাইশে পানি নয়, নলকূপের পাইপ দিয়ে বেরোচ্ছে গ্যাস

চট্টগ্রামের চন্দনাইশ উপজেলার দক্ষিণ হাশিমপুর পালপাড়া এলাকায় নলকূপ স্থাপনের সময় পাইপ দিয়ে বের হচ্ছে গ্যাস।

উপজেলা প্রশাসনের পক্ষে বৃহস্পতিবার (২৭ মে) সন্ধায় মাটি চাপা দিয়ে গ্যাস নির্গমন প্রাথমিকভাবে বন্ধ করা হয়েছে।

সরেজমিনে গিয়ে জানা যায়, দক্ষিণ হাশিমপুর পালপাড়ার মৃত রবীন্দ্র পালের ছেলে অমল পাল প্রকাশ নন্দপাল তার ঘরের পাশে ২১ দিন আগে ৭ হাজার টাকায় ১টি নলকূপ বসানোর কাজ শুরু করে। নলকূপের ৭০ ফুট পাইপ ভিতরে যাওয়ার পর গ্যাস পাওয়া যায়। পরবর্তীতে ৯৫ ফুট অতিক্রম করার পর আরো বেশি করে গ্যাস আসতে থাকলে নলকুপ বসানোর কাজের লোকেরা শংকিত হয়ে কাজ বন্ধ করে দেয়। ঐ দিন প্রায় ৩ ঘন্টা ধরে তারা কাজ করে পানি তুলতে পারেনি। এখন প্রতিদিন নন্দপালের পাইপ দিয়ে গ্যাস উঠে আর নন্দপাল কেউ গেলে গ্যাস লাইট দিয়ে আগুন জ্বালিয়ে তাদেরকে দেখাচ্ছেন। দীর্ঘ ২২ দিন ধরে নন্দপালের নলকূপের পাইপ দিয়ে গ্যাস উঠলে তার ছেলে গত ২৬ মে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীকে অবহিত করেন।

খবর পেয়ে স্থানীয় সাংবাদিকেরা গত ২৬ মে বিকেলে সরেজমিনে গিয়ে বিষয়টি ফায়ার সার্ভিস ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। নন্দপালের নলকূপ দিয়ে পানি তুলতে পারছেন না কোনভাবেই। বিষয়টি নিয়ে উৎসুক জনতা প্রতিদিন নন্দপালের ঘরে ভিড় জমাচ্ছে। নন্দপাল একজন পেশায় ভ্যানচালক, পাশাপাশি ক্ষেত খামার করে জীবন জীবিকা নির্বাহ করে। তাদের এলাকায় একটি এনজিও’র পক্ষ থেকে কয়েকটি নলকূপ দিলে নন্দপালও একটি পায়। তার পার্শ্ববর্তী বিমল পাল ও সনজীব পালসহ ৫টি নলকূপ ১৫ দিন আগে একই এলাকায় বসালেও তাদের কোন সমস্যা হয়নি। নন্দপাল দুর্ঘটনা এড়াতে কাজ কর্ম ছেড়ে দিয়ে নলকূপের পাশে অবস্থান নিতে দেখা যায়।

এ ব্যাপারে উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ফরহাদ উদ্দীন বলেছেন, তিনি বিষয়টি তার ছেলের নিকট থেকে জেনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন। যেহেতু নলকূপটি বেসরকারিভাবে স্থাপন করা হচ্ছে এবং গ্যাস উঠছে, সেহেতু এটি ব্যবহার না করা উচিত।

 চন্দনাইশ ফায়ার সার্ভিসের ভারপ্রাপ্ত লিডার মো.শাহ আলম খান বলেছেন, তারা সাংবাদিকদের কাছ থেকে জেনে বৃহস্পতিবার সকালে সরেজমিনে পরিদর্শন করেন। তবে বিষয়টি অগ্নি সংক্রান্ত না হওয়ায় তারা কোন ব্যবস্থা নিতে পারেননি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাদিয়া ইসলাম বলেছেন, তিনি বিষয়টি জেনে আজ সন্ধ্যায় ফায়ার সার্ভিস, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগ, স্থানীয় চেয়ারম্যানসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে গ্যাস নির্গমনের বিষয়টির সত্যতা পেয়ে প্রাথমিকভাবে মাটি চাপা দেয়ার ব্যবস্থা নেন। এব্যাপারে যথাযথ কর্তৃপক্ষ তথা খনিজ সম্পদ বিষয়ক বিভাগে লিখিতভাবে অবহিত করবেন বলে জানিয়েছেন।

আরো সংবাদ