স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

দেশে করোনায় মৃত্যু বেড়েছে, কমেছে শনাক্ত

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মৃত্যু বেড়েছে। তবে শনাক্ত কমেছে। গতকাল শুক্রবার সকাল আটটা থেকে আজ শনিবার সকাল আটটা পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত আরও ৩৮ জনের মৃত্যু হয়েছে। একই সময়ে ১ হাজার ৪৩ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়মিত বুলেটিনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এর আগে গতকাল শুক্রবার করোনাভাইরাসে ৩১ জনের মৃত্যু হয়। সেদিন ১ হাজার ৩৫৮ জনের করোনার সংক্রমণ শনাক্ত হয়েছিল।

আজ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ১৮৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ।

দেশে এ পর্যন্ত মোট করোনাভাইরাস শনাক্ত রোগীর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৯৭ হাজার ৩৮৬ জন, মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১২ হাজার ৫৪৯। মোট সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৩৭ হাজার ৪০৮ জন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, আক্রান্তদের মধ্যে একদিনে আরও এক হাজার ১৮৭ জন সুস্থ হয়ে উঠেছেন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন সাত লাখ ৩৭ হাজার ৪০৮ জন।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৪ ঘণ্টায় ১৩ হাজার ১৮৪টি নমুনা পরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ৭ দশমিক ৯১ শতাংশ। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫৯ লাখ ১৫ হাজার ৫৮টি। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৪৮ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৩৮ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগের আটজন। এছাড়া চট্টগ্রামে ৪, রাজশাহীতে ৭, খুলনায় ৭, বরিশালে ১, সিলেটে ৫, রংপুরে ৪ এবং ময়মনসিংহে দুজন মারা গেছেন।

২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়াদের মধ্যে ২৮ জন পুরুষ এবং ১০ জন নারী। এর মধ্যে একজন ছাড়া সবাই হাসপাতালে মারা গেছেন।

এ পর্যন্ত করোনায় মোট মারা যাওয়া ১২ হাজার ৫৪৯ জনের মধ্যে পুরুষ নয় হাজার ৬৫ জন এবং নারী তিন হাজার ৪৮৪ জন।

গত বছরের ৮ মার্চ দেশে প্রথম করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। টানা কয়েক মাস করোনার সংক্রমণ ও মৃত্যু ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর তা আস্তে আস্তে কমে আসে। তবে চলতি বছরের মার্চ থেকে আবার বাড়তে থাকে করোনায় মৃত্যু ও সংক্রমণ। এটাকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ হিসেবে দেখছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরো সংবাদ