স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

মালয়েশিয়ান হাইকমিশনের আন্তরিকতায় দেশে ফিরল প্রবাসী পরিবার

করোনার সংক্রমণ অব্যাহতভাবে বাড়তে থাকায় বাংলাদেশের সঙ্গে আকাশপথের যোগাযোগ বন্ধ রয়েছে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের পক্ষ থেকে এমন নোটিশে বেশ বিপাকে পড়েছে দেশে ফিরতে আগ্রহী প্রবাসী। অনেকে অগ্রিম টিকিটও করে রেখেছিলেন। কিন্তু মহামারির সংক্রমণ ঠেকাতে ফের ফ্লাইট বন্ধ করে দেওয়ায় তাদের সব পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে।

মালয়েশিয়ায় নিজে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান পরিচালনা করেতেন সাব্বির আহমেদ। কিন্তু চলমান মহামারির কারণে সংক্রমণ উওরণে মালয়েশিয়া সরকারের জারি করা মুভমেন্ট কন্ট্রোল অর্ডার (এমসিও) এবং স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপি) সবকিছু এলামেলো করে দিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যবসাপাতি গুঠিয়ে দেশে যাওয়ার নেওয়া সিদ্ধান্ত নিল সাব্বির। এজন্য এক মাস আগে ৩ জুনের এয়ার এশিয়ার টিকিট কেটেছিলেন। তবে বাংলাদেশ সিভিল এভিয়েশনের মালয়েশিয়াসহ ১১ দেশেরে সঙ্গে ফ্লাইট বন্ধের ঘোষণার পর দুশ্চিন্তায় পড়লেন সাব্বির।

ইউএস বাংলা, মালয়েশিয়ান এয়ারলাইনন্সসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে যোগাযোগ করে ৪ জুনের আগের টিকিট মেলেনি। ৩ জুন পর্যন্ত ছিল তার ভিসার মেয়াদ। শেষে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্সের টিকিট করলেন ৩ জুনের। সিদ্ধান্ত নিলেন মালয়েশিয়া-সিঙ্গাপুর হয়ে দেশে ফিরবেন তিনি। ৩ জুন মালয়েশিয়ান সময় রাত ৮টা ৫০ মিনিটের ফ্লাইটে গেলেন সিঙ্গাপুর। ৩২ ঘণ্টার ট্রানজিট, পরের দিন ৪ জুন সিঙ্গাপুর সময় সন্ধ্যা ৭.৩৫ মিনিটে ফ্লাইট। বিমানে উঠার আগে বোর্ডিং পাস নেওয়ার সময় কর্তৃপক্ষ পাস দিতে অপারগতা। ট্রানজিট ফ্লাইট নেই হাইকমিশনের লেটার। বিমানবন্দরে অপেক্ষমান পরিবারের ৪ সদস্যদের নিয়ে চিন্তায় মগ্ন সাব্বির। এখন কী করবেন ভেবে পাচ্ছিলেন না।

মালয়েশিয়ায় থাকা তার ব্যবসায়ী বন্ধু কমিউনিটি নেতা ড. আরিফের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করে বিস্তারিত তাকে জানালেন। ড. আরিফ যোগাযোগ করলেন মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের কন্স্যুলার সেকশনের কাউন্সিলর জি এম রাসেল রানার সঙ্গে। রাসেল রানা মান্যবর হাইকমিশনার গোলাম সারওয়ারের সঙ্গে বিষয়টি আলোচনা করেন এবং সমাধানের চেষ্টা করেন। যেহেতু শুক্রবার বাংলাদেশে ছুটি। সেহেতু অনেক চেষ্টারপর রাসেল রানা হাইকমিশনারের অনুমতি সাপেক্ষে অফিস ছুটির পরেও অতিরিক্ত সময় ব্যয় করে সাব্বিরের পরিবারের ৪ সদস্যসহ ৫ জনের নামে ছাড়পত্র ইস্যু করেন। এরই মধ্যে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ কাউন্সিলর রাসেল রানার সঙ্গে যোগাযোগ করে। উদ্ভূত পরিস্থিতিতে হাইকশিশনের এমন সহায়তাকে স্বাগত এবং প্রসংশা করে সিঙ্গাপুর এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। সাব্বির তার পরিবারের ৪ সদস্য নিয়ে মোট ৫ জন এখন বাংলাদেশে হোম কোয়ারেন্টাইনে।

এমন পরিস্থিতিতে হাইকমিশনের সহায়তাকে সাধুবাদ জানিয়েছেন মালয়েশিয়ায় বসবাসরত প্রবাসীরা। তারা বলছেন, হাইকমিশন প্রবাসীদের কল্যাণে সর্বক্ষেত্রে কাজ করবে, এটাই প্রবাসীদের প্রত্যাশা।

আরো সংবাদ