স্বাধীনদেশ টেলিভিশন

আজ আন্তর্জাতিক গৃহশ্রমিক দিবস

আজ ১৬ জুন, আন্তর্জাতিকভাবে পালিত হচ্ছে গৃহশ্রমিক দিবস-২০২১। অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও দিবসটি পালিত হবে। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে ভার্চুয়ালি দিবসটি পালিত হবে।

গত বছর করোনা শুরুর পর গৃহকর্মীদের আয় করোনার আগের তুলনায় ৬১ ভাগ কমে গিয়েছিল। চলতি বছর পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও এই আয় এখনো করোনার আগের তুলনায় ১২ শতাংশ কম।

গবেষণার তথ্য বলছে, কাজ হারানো গৃহশ্রমিকদের মধ্যে এখনো বেকার ৩৫ শতাংশ। ৪৬ ভাগ তাঁদের পুরোনো পেশায় ফিরে যেতে পেরেছেন। ছোট ব্যবসা, কারখানার শ্রমিক, কৃষিসহ নানা পেশায় যুক্ত হতে পেরেছেন ১৯ শতাংশ গৃহকর্মী। 

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনার আগেও গৃহকর্মীদের অবস্থা নাজুক ছিল। তারা শ্রমিক হিসেবে স্বীকৃতি পাননি। ‘বাংলাদেশ শ্রম আইন-২০০৬’ এর আওতা বহির্ভূত রাখায় তারা মানবিক অধিকার, শোভন কর্মপরিবেশ, ন্যায্য মজুরি, সামাজিক সুরক্ষা ও সংগঠিত হওয়ার অধিকার থেকে বঞ্চিত। বেশির ভাগ গৃহকর্মীকে শারীরিক-মানসিক নির্যাতন ও হয়রানির শিকার হতে হয়।

ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব গভর্ন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট এবং পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেশন রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) যৌথভাবে দরিদ্র মানুষের ওপর করোনা ভাইরাসের প্রভাব নিয়ে একটি জরিপ করেছে। গত বছর ৪ থেকে ১২ এপ্রিল পর্যন্ত টেলিফোনে এ জরিপ করা হয়। জরিপে অংশ নেন ৫ হাজার ৪৭১ জন।

এতে বলা হয়েছে, গৃহকর্মীদের ৫৭ শতাংশেরই কোনো কাজ নেই। এই গৃহকর্মীদের ৭৬ শতাংশ আয় কমেছে। ফলে নিম্ন আয়ের অন্যান্য পেশার সঙ্গে যুক্তদের পরিবারের যে ভোগান্তি, একই ভোগান্তি হচ্ছে গৃহকর্মী ও তার পরিবারের।

গৃহশ্রমিক অধিকার প্রতিষ্ঠা নেটওয়ার্কের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়কারী আবুল হোসাইন জানিয়েছেন, দেশব্যাপী গৃহশ্রমিকদের সুরক্ষায় প্রণীত ‘গৃহকর্মী সুরক্ষা ও কল্যাণ নীতি ২০১৫’ বাস্তবায়ন না হওয়ায় দেশে একের পর এক ঘটনা ঘটছে। বিচারহীনতার কারণে দোষীরা বারবার গৃহশ্রমিকদের নির্যাতনের সাহস পাচ্ছে। যদি এসব ঘটনায় দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হয়, তাহলে ভয়ে আর কেউ গৃহশ্রমিকদের নির্যাতনের সাহস দেখাবে না।

আরো সংবাদ